রোশন গিরি পাহাড়ে সভা করলে বাধা দেব কেন? বললেন অনীত থাপা

পাহাড়ে বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা এলেও বাধা দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই বলে জানিয়ে দিলেন গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিটিএ) কেয়ারটেকার চেয়ারম্যান তথা গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা অনীত তামাং। শনিবার কার্শিয়াঙে এক প্রশ্নের উত্তরে একদা বিমলের অন্যতম ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত অনীত জানান, একটা সময়ে পাহাড়ে বিরোধী মনোভাবাপন্ন কাউকে সবাই করতে দেওয়া হতো না। কিন্তু, তাঁরা গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর বলে কাউকে বাধা দেবেন না বলে জানিয়ে দেন অনীত। তবে পাহাড়ে কোনওরকম অশান্তির চেষ্টা হলে তাঁরা চুপ করে থাকবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
ঘটনা হল, রবিবার কার্শিয়াঙে সভা করার কথা রোশন গিরির। অনীত থাপা কার্শিয়াঙেরই বাসিন্দা। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ওই সভা করতে বাধা দেবেন কি না। তিনি জানান, বাধা দেওয়ার প্রশ্নই নেই। তবে কী কারণে সাড়ে তিন বছর পরে বিমল গুরুং-রোশন গিরিরা আসছেন তাঁরা তা বুঝতে চাইছেন এবং পাহাড়বাসীরাও তা বোঝার চেষ্টা করছেন।

অনীতের দাবি, তাঁরা তিন বছর আগে পাহাড় ছেড়ে পালিয়ে না গিয়ে হিসেব কষে পা ফেলে পাহাড়ে শান্তি বজায় রেখেছেন। তাঁরা যে পথে হেঁটেছেন, সেই রাস্তায় হাঁটতে বিমল গুরুংদের তিন বছর লেগে গেল কেন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

আরও পড়ুন- ‘ওরা কৃষক, কোনও সরকারি সংস্থা নয় যে বেচে দেবেন’, সরব কানহাইয়া

এতদিন বিমল গুরুং, রোশন গিরিদের নামে পাহাড়ে বিনয় তামাং-অনীত থাপার অনুগামীদের একাংশ ‘গো ব্যাক ধ্বনি’ তুলেছেন। এবার রোশন গিরি পাহাড়ে সভা করতে আসার আগের দিন অনীতের বক্তব্যে অনেকটাই স্বস্তিতে পাহাড়ের আমজনতা। কারণ, বিমল গুরুং-বিনয় তামাং গোষ্ঠীর লোকজনদের মধ্যে গোলমাল হলে পাহাড় ফের উত্তপ্ত হতে পারে বলে অনেকের আশঙ্কা ছিল। কিন্তু, অনীত গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখার কথা বলায় তাঁরা সেই আশঙ্কা অনেকটাই কমেছে বলে তাঁরা মনে করেন।

আরও পড়ুন- মালদহের নেতৃত্বকে একযোগে কাজের বার্তা অভিষেকের, বৈঠকে অনুপস্থিত মৌসম, সাবিত্রী

Previous articleমালদহের নেতৃত্বকে একযোগে কাজের বার্তা অভিষেকের, বৈঠকে অনুপস্থিত মৌসম, সাবিত্রী
Next article২ ডিসেম্বর থেকে রাজ্য জুড়ে চলবে লোকাল