‘অসাবধানে’ একটি ‘ভুল’ লিঙ্কে ক্লিক, ২৭০ স্থান পেয়েও আইআইটিতে ভর্তি হাতছাড়া পড়ুয়ার

‘অসাবধানে’ একটি ‘ভুল’ লিঙ্কে ক্লিক করে ফেলেছিলেন। তার জেরে আইআইটি মুম্বইতে ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের আসন হাতছাড়া হল ১৮ বছরের এক পড়ুয়ার। বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন তিনি।
নিজের পিটিশনে সিদ্ধার্থ বাত্রা নামে আগ্রার ওই পড়ুয়া দাবি করেছেন, অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়ার সময় একটি পেজ এসেছিল। তাতে ‘ফ্রিজ’ অপশন ছিল। ভর্তি প্রক্রিয়া চূড়ান্ত এবং আসন নিশ্চিতের জন্য সেই অপশন দেওয়া হয়েছিল বলে মনে হয়েছিল তাঁর। আবেদনে বলা হয়েছে, ‘আরও আপডেটের জন্য গত ৩১ অক্টোবর যখন আইআইটির পোর্টালে ঘেঁটে দেখার সময় তাঁকে একটি ঘোষণাপত্র দেখানো হয়। তাতে বলা হয়, জেওএসএএএয়ের আসন বণ্টন প্রক্রিয়া থেকে আমি নাম প্রত্যাহার করে নিতে চাই।’
ওই ছাত্র দাবি করেছেন, তিনি কখনও নাম তুলে নিতে চাননি। বরং ‘অসাবধনতাবশত’ লিঙ্কে ক্লিক করে ফেলেছিলেন। আর নাম তুলে কারণ হিসেবে ‘আইআইটি বম্বেতে ইলেক্টিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং’ লিখেছিলেন। পিটিশনে সিদ্ধার্থ দাবি করেছেন, সবরকম প্রতিকূলতা কাটিয়ে আইআইটি-জেইইতে (সর্বভারতীয় জয়েন্ট পরীক্ষায়) পাশের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন। ছেলেবলায় তাঁর বাবা মারা গিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর মায়ের। আপাতত দাদু ও ঠাকুমার সঙ্গে থাকেন তিনি। মানবিক কারণে আইআইটি মুম্বইকে তাঁর আবেদন বিবেচনা করার আর্জি জানিয়েছেন সিদ্ধার্থ। তাঁর ‘ক্ষতি’ পূরণে বাড়তি একটি আসন চালুর আর্জিও জানানো হয়েছে।
ইতিমধ্যে একই আর্জি জানিয়ে নভেম্বরের শুরুতে মুম্বই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সিদ্ধার্থ। তিনি জেইই-অ্যাডভান্সডে দেশে ২৭০ তম স্থান পেয়েছেন। প্রাথমিকভাবে সিদ্ধার্থের আর্জি বিবেচনা করে দেখার জন্য আইআইটিকে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু আইআইটি জানিয়েছে, সব আসন পূরণ হয়ে যাওয়ায় এই পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করা যাবে না। একইসঙ্গে ভর্তি প্রক্রিয়ার নিয়মও মেনে চলতে হবে।

গত ২৩ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি জি এস কুলকার্নি সিদ্ধার্থের আর্জি খারিজ করে দেয়। রায়ে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সিদ্ধার্থের বিষয়টি বিবেচনা করেছে আইআইটি।

Previous articleবেনজির! বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম, কলকাতায় কত জানেন?
Next articleশুভেন্দুর ইস্তফার পর মদনের নেতৃত্বে পরিবহণে কমিটি গড়লেন মমতা