আরএসএসের সদর নাগপুরেও গোহারা হারল বিজেপি!

দলের নিয়ন্ত্রক শক্তি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সদর কার্যালয় যে নাগপুরে, সেখানেই মুখ থুবড়ে পড়ল গেরুয়া ব্রিগেড। বিজেপির বরাবরের শক্ত ঘাঁটি নাগপুরে দলের লজ্জাজনক বিপর্যয়ের পর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ স্বীকার করেছেন, মহারাষ্ট্রে মহাবিকাশ অঘড়ির শক্তি বুঝতে আমাদের ভুল হয়েছিল।

আরও পড়ুন : মহারাষ্ট্রে বিজেপিকে দুরমুশ করে দিল ‘মহাবিকাশ অঘড়ি’, ৬ আসনের ৫টিতে হার

শুক্রবার ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, মহারাষ্ট্রে বিধান পরিষদের নির্বাচনে ৬টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতেই হেরেছে বিজেপি৷ মাত্র একটি আসন পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল নাড্ডার দলকে৷ গত বছরই মহারাষ্ট্রে ক্ষমতা হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির৷ এবার বিধান পরিষদে শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেসের জোট ‘মহাবিকাশ অঘড়ি’-র কাছে গোহারা হারল বিজেপি৷ সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, নিজেদের শক্ত ঘাঁটি এবং আরএসএস-এর সদর দফতর যেখানে, সেই নাগপুরেও হেরে গিয়েছে বিজেপি৷ এই নাগপুর আসন থেকে একসময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ি নির্বাচিত হয়েছেন৷ পুণেতে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, চন্দ্রকান্ত পাটিলের মতো হেভিওয়েট বিজেপি নেতারা প্রচারে গেলেও হারতে হয়েছে বিজেপিকে৷ ফল প্রকাশের পর মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ স্বীকার করেছেন, ‘তিন দলের সম্মিলিত শক্তি বুঝতে আমাদের ভুল হয়েছিল৷ হিসেবেও গরমিল হয়ে গিয়েছে৷ এই ফল আমাদের কাছে অপ্রত্যাশিত।’

ঔরঙ্গাবাদ এবং পুণেতে স্নাতকদের দ্বারা নির্বাচিত আসনগুলিতে জয়ী হয়েছেন এনসিপির দুই প্রার্থী৷ কংগ্রেস জয়ী হয়েছে দু’টি আসনে৷ একটি আসন পেয়েছেন নির্দল প্রার্থী৷ তবে উল্লেখযোগ্য হল, বিজেপির প্রাক্তন শরিক শিবসেনা একটি আসনেও জেতেনি৷ অমরাবতীতে নির্দল প্রার্থীর কাছে হেরে গিয়েছেন শিবসেনা প্রার্থী৷ ধুলে নান্দুরবার আসনের উপনির্বাচনে একমাত্র প্রাপ্তি বিজেপির৷ মহারাষ্ট্র বিধানসভার উচ্চকক্ষ বিধান পরিষদে মোট ৭৮টি আসন রয়েছে৷ তার মধ্যে সাতটি করে আসনে রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের নির্বাচিত করেন স্নাতক এবং শিক্ষকরা৷ এবারেও যে আসনগুলিতে ভোট হয়েছে, তার জন্য প্রায় ১২ লক্ষ শিক্ষক এবং স্নাতকরা ভোট দিয়েছেন৷ সেজন্য এই ফল যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী৷

Previous articleকৃষকদের সমর্থনে এবার অবস্থান-বিক্ষোভে তৃণমূল, সূচি ঘোষণা মমতার
Next articleতামাকজাত নেশা করলে পাওয়া যাবে না সরকারি চাকরি, কড়া পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের