কয়লা পাচারকাণ্ড: নজরদারি চালাতে কোলিয়ারি এলাকায় শিবির করবে CBI

এবার দুর্গাপুর-আসানসোলে ক্যাম্প করবে সিবিআই।
অবৈধ কয়লা খাদানের কারবারের উপর নজরদারি চালাতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
অবৈধ কয়লা খাদান কারা চালাচ্ছে, কাদের মদতে চালাচ্ছে তার উপর সরাসরি নজরদারি চালাতেই এবার কোলিয়ারি এলাকায় শিবির গড়ছে সিবিআই।

জানা গিয়েছে, বছরের ৩৬৫দিন সেখানে থাকবেন একাধিক আধিকারিক। অবৈধ কারবার নিয়ে তদন্তের সুবিধায় লোকাল লিঙ্ক তৈরির করাই উদ্দেশ্য তাঁদের। এবং তার ভিত্তিতেই রিপোর্ট পাঠানো হবে দিল্লিতে।

কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তে নেমে অফিসাররা জানতে পারছেন, বছরের পর বছর ধরে বেআইনি খাদান চলে আসছে দুর্গাপুর-আসানসোলে। কয়লার বেআইনি উত্তোলনের জেরে সমান্তরাল অর্থনীতি চলছে এই সমস্ত এলাকায়। ইসিএল, সিআইএসএফ-এর পদস্থ কর্তাদের একাংশকে সঙ্গে নিয়ে এই কাজ চালিয়ে আসছে কয়লা মাফিয়ারা। সঙ্গে রয়েছেন স্থানীয় থানার দায়িত্বপ্রান্ত অফিসাররা। অবৈধ খাদানের কয়লা যাচ্ছে ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশে, বিহার থেকে শুরু করে উত্তর পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে। দিল্লির কড়া নির্দেশ, এরাজ্যে কয়লা পাচার বন্ধ করতে হবে। সেই সঙ্গে কয়লা মাফিয়াদের কোনওভাবেই রেয়াত করা যাবে না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

সিবিআইয়ের নজরে এসেছে কোলিয়ারি এলাকায় ইসিএল বা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কাজকর্মের উপর নজর রাখার কেউ নেই। যে কারণে অবৈধ কারবারের এই রমরমা। দিল্লির সদর দফতর থেকে নির্দেশ এসেছে দুর্গাপুর, আসানসোল-রানিগঞ্জে স্থায়ীভাবে থাকতে হবে সিবিআইয়ের টিমকে।

সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, এক একটি শিবিরে অফিসার ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মী মিলিয়ে ১৫ থেকে ২০ জন রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে চারটি শিবির করার পরিকল্পনা রয়েছে। আস্তে আস্তে এর সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। পুরুলিয়া জেলাকেও পরে এর অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

আরও পড়ুন-‘শুভেন্দু তো একা যাবে না, বাংলা দেখবে ধস নামছে তৃণমূলে’, এবার তোপ মান্নানের

Previous article‘শুভেন্দু তো একা যাবে না, বাংলা দেখবে ধস নামছে তৃণমূলে’, এবার তোপ মান্নানের
Next articleবাংলায় পাল্টা কৃষি আইনের দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি কংগ্রেস-বামের