ডেউচা-পাঁচামী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা জেলাশাসকের

খনিজ সম্পদের ভাণ্ডার বীরভূম। পশ্চিমবঙ্গের এই জেলায় মহঃবাজার ব্লকের ডেউচা, পাঁচামি, দেওয়ানগঞ্জ, হরিণসিঙ্গা এবং তার আশপাশের গ্রামের মাটির নীচে রয়েছে উৎকৃষ্ট মানের কয়লা। আর সেই কয়লা উত্তোলনের জন্য ভারত সরকার দায়িত্ব দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। মাটির নিচে অবস্থিত ২১০ কোটি ২০ লক্ষ টন উন্নত মানের এই কয়লা উত্তোলনের জন্য ব্লু প্রিন্ট তৈরি করছে রাজ্য সরকার। সমস্যা জানিয়েছে এখানকার পুনর্বাসন প্যাকেজ।

ডেউচা-পাঁচামী প্রস্তাবিত কয়লা খনি এলাকায় বসবাস করেন কম করে পাঁচ হাজার পরিবার। তাদের অধিকাংশই আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত। এলাকার আদি বাসিন্দাদের নিজস্ব কিছু দাবি দেওয়া রয়েছে।এই পুনর্বাসন প্যাকেজ এর প্রেক্ষিতে বীরভূম জেলা শাসক ডঃ বিজয় ভারতী এদিন গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করলেন। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানিয়ে দিলেন, ‘কয়লা খনির কাজ শুরু করার আগে এলাকার বাসিন্দাদের আর্থসামাজিক সমীক্ষার কাজ শুরু করা হয়েছে। এই সমীক্ষার উদ্দেশ্য হল স্থানীয় বাসিন্দাদের সম্পত্তি, আয়ের উৎস পরিমাণ, ইত্যাদি সহ সকলের সুচিন্তিত মতামত ও পরামর্শ লিপিবদ্ধ করা। সমীক্ষার ভিত্তিতে উঠে আসা পরামর্শের উপর ভিত্তি করে রাজ্য সরকার একটি সুসংহত পুনর্বাসন প্যাকেজ তৈরি করতে সমর্থ হবে।’

আরও পড়ুন:শিলিগুড়ির হাসমি চকে বিমল গুরুং বিরোধী জয়বাংলার বিক্ষোভ

একইসঙ্গে তিনি এটাও জানান, ‘রাজ্য সরকার আলোচনার মাধ্যমে এবং সকলের সহযোগিতায় কয়লা শিল্পাঞ্চলের কাজ শুরু করতে আগ্রহী। কোনভাবেই জোর করে মতামত চাপিয়ে দেওয়া হবে না। তারপরও যদি অসন্তোষ থাকে তা সমাধানের জন্য ত্রিস্তরীয় শুনানি ও মীমাংসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।’ একই সঙ্গে তিনি এটাও জানান, ‘এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এলাকা এবং রাজ্যের আর্থিক উন্নতি ঘটবে, হবে বিপুল পরিমাণ কর্মস্থান। ফলস্বরূপ রাজ্যের সামগ্রিক উন্নতির জন্য সকলের সহযোগিতা কাম্য।’ এই প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই এলাকার বাসিন্দাদের কাছে লিফলেট বিলি এবং প্রচার শুরু করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে। অনুরোধ করা হয়েছে যাতে এলাকাবাসী কোনওরকম উস্কানিতে পা না দেন।’

Previous articleশিলিগুড়ির হাসমি চকে বিমল গুরুং বিরোধী জয়বাংলার বিক্ষোভ
Next article‘কাজের মানুষ কাছের মানুষ’ রাজীবের সমর্থনে পোস্টার, প্রতিক্রিয়া দিলেন অরূপ-ফিরহাদ