বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযানে ধুন্ধুমার! পুলিশের বিরুদ্ধে মোবিল-গ্রিজ ব্যবহারের অভিযোগ

ঠিক দু’মাস আগের নবান্ন অভিযান প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠল শিলিগুড়িতে বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযানে। বেধে যায় ধুন্ধুমার কাণ্ড। বিজেপির অভিযানে বাধা দিলেই পুলিশকে করে ইটবৃষ্টি, ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা, অগ্নিসংযোগ! পাল্টা বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস, জল কামান, লাঠিচার্জ করল পুলিশ। অবরুদ্ধ শিলিগুড়ি। উত্তেজনা চরমে। সবচেয়ে বেশি উত্তেজনা ছড়িয়েছে তিনবাত্তি মোড়ে। সেখানে পুলিশের বেশ কয়েকটি ব্যাকিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় বিজেপির একটি বিশাল মিছিল। এরপর পুলিশ বাধা দিলে শুরু হয়ে যায় খণ্ডযুদ্ধ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশ কর্মী ও আধিকারিক আক্রান্ত হয়েছেন। জঘম বিজেপির একাধিক কর্মীও। এখনও বন্ধু চায়না থেকে উত্তরকন্যা অভিমুখে এগিয়ে যাচ্ছে মিছিল। তৈরি প্রশাসনও মিছিল আটকাতে মরিয়া পুলিশ।

আরও পড়ুন : কেন্দ্রীয় নেতার সামনেই বিজেপির বিক্ষুব্ধদের স্লোগান, ‘বিপ্লব হঠাও, বিজেপি বাঁচাও’

নবান্ন অভিযানের পর বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযান ঘিরে সকাল থেকেই ছিল রাজনৈতিক উত্তাপ। গন্ডগোল এড়াতে মালবাজারের জলঢাকা ভানুমোড়ে মোতায়েন করা হয়। গতকাল রাত থেকেই শুরু নাকা চেকিং। অভিযানে যোগ দেওয়ার আগেই সকালের দিকে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বারলা। মাল কলেজের সামনেও বিজেপি সমর্থকদের গাড়ি আটকানোর অভিযোগ তুলেছে গেরুয়া শিবির।

জলপাইগুড়ির গোশালা মোড়ে বিজেপির বাস আটকানো ঘিরে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিসের বচসা। পুলিশি প্রহরা কাটিয়ে এগিয়ে যান বিজেপি মহিলা মোর্চার জেলা সভাপতি টিনা গঙ্গোপাধ্যায়।

কৈলাস বিজয়বর্গীয় নেতৃত্বে একটি মিছিল আসছিল জলপাই মোড় থেকে। অন্যটি দিলীপ ঘোষের মিছিল, আসছিল ফুলবাড়ি থেকে। সেই মিছিলটিও ফ্লাইওভার পেরতেই বাধাপ্রাপ্ত হয়।

এনএইচপিসি-র অতিথি নিবাসে যাওয়ার পথে আজ দিলীপ ঘোষ ও সায়ন্তন বসুকে আটকায় পুলিশ। প্রথমে তাঁদের আটকানো হয় কামরাঙাগুড়ি মোড়ে। সেখানে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বচসা হয় দুই বিজেপি নেতার। তারপর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর আবার উত্তরকন্যার কাছে এনএইচপিসি অতিথি নিবাসের মুখে আটকানো হয় তাঁদের। বিজেপি নেতারা জানান, তাঁরা অতিথি নিবাসে বিশ্রাম নিতে এসেছেন। এরপর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন : শিলিগুড়িতে ধুন্ধুমার কাণ্ড, বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযানকে কটাক্ষ পার্থর

এদিকে, বিজেপির নবান্ন অভিযানের সময় পুলিশের বিরুদ্ধে উঠেছিল জল কামানে কেমিক্যাল ব্যবহারের অভিযোগ। উত্তরকন্যা অভিযানেও উঠল সেই একই অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে, বিজেপির মিছিল আটকাতে তিনবাত্তি মোড়ে যে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে তাতে ব্যবহার করা হয়েছে মোবিল ও গ্রিজ। আন্দোলনকারীরা যাতে এই ব্যারিকেড টপকাতে না পারে সেই জন্যে এই ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। আর কেমিক্যালের এই ব্যবহার নিয়েই ফের বিতর্ক দানা বেঁধেছে।

সবমিলিয়ে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযানকে ঘিরে যথেষ্ট রাজনৈতিক উত্তেজনা রয়েছে শিলিগুড়িতে।

Previous articleধান ছুঁয়ে কৃষকদের আন্দোলনের পাশে থাকার শপথ মমতার
Next article‘সেটাই করছি যা UPA সরকার করতে চেয়েছিল’, বিরোধীদের তোপ রবিশঙ্করের