অনিশ্চিত হয়ে পড়ল কোচবিহার বিমানবন্দরের ভবিষ্যৎ

এক বছরের জন্য অনিশ্চিত হয়ে পড়ল কোচবিহার বিমানবন্দরের ভবিষ্যৎ। এ বছর লাইসেন্স নবীকরণ করা হবে না বলে জানিয়ে দিল অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। এই নিয়ে ফের শুরু হয়েছে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত।
১৯৩০ সালে তৎকালীন রাজার তত্ত্বাবধানে এই বিমানবন্দরের পথ চলা শুরু হয়। এরপর ১৯৯০ সাল পর্যন্ত নিয়মিত ওঠানামা করেছে বিমান। তারপর থেকে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় পরিষেবা।
প্রসঙ্গত , বাম আমলে চেষ্টা চালানো হলেও চালু করা যায়নি বিমানবন্দর। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১২ সালে ছোট বিমানের উড়ান শুরু হয়। কিন্ত যাত্রী কম থাকার জেরে পরিষেবা চালানো আর্থিকভাবে লাভবান না হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় বিমানবন্দর। কোচবিহারের সাংসদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে একটি বিমান চলাচল গতবছর চালু হলেও তা ফের বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রতি চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, হবে না লাইসেন্স পুর্ননবীকরণ। যা নিয়ে কেন্দ্রের বাংলাকে বঞ্চিত করার অভিযোগ করেছে তৃণমূল। পাল্টা রাজ্য সরকারের ঘাড়েই দায় চাপিয়েছে বিজেপি।
এখন প্রতিদিন সকালে দু’ঘণ্টার জন্য কোচবিহার বিমানবন্দরের এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল খুলে রাখা হয়। সপ্তাহ দুয়েক আগে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে নিয়ে সেখানে
হেলিকপ্টার ওঠানামা করেছিল। মাসখানেক আগে এক অসুস্থ ব্যক্তিকে সেখান থেকে ছোট বিমানে উড়িয়ে আনা হয় কলকাতায়। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ওই বিমানবন্দরে কর্মীদের বসিয়ে রেখে অনর্থক বেতন গুনতে হচ্ছে। প্রতি বছর লাইসেন্স ফি দিতে হচ্ছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)-কে। দিল্লি জানিয়েছে, ২০২১-এর ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত কোচবিহার বিমানবন্দরের লাইসেন্স বহাল থাকবে। তারপর ভবিষ্যত অনিশ্চিত ।

Previous articleশাহের সভার আগে শহরে ভাগবত, তেজেন্দ্র নারায়ণ সহ বহু শিল্পীর মুখোমুখি
Next articleসঙ্কটমুক্ত বুদ্ধবাবু, ছেড়ে দেওয়া হতে পারে তাঁকে