সিঙ্গুর আন্দোলন নিয়ে ‘বোধোদয়ের’ নাটক মুকুল রায়ের

২০০৬-০৭ সালের সিঙ্গুর আন্দোলনের (Singur Movement) সময় তিনি তৃণমূলের (TMC) প্রথমসারির নেতা৷ আন্দোলনের রূপরেখা তৈরির অন্যতম প্রধান কারিগর৷ এখন তিনি দলবদল করে বিজেপি (BJP)-তে৷

আজ, ২০২০-র শেষভাগে এসে মুকুল রায়ের (Mukul Roy) ‘বিলম্বিত বোধোদয়’-এর নাটক, “সিঙ্গুর থেকে টাটাদের (Tata) ‘তাড়ানো’ ভুল হয়েছিল। তার জেরে এখনও পশ্চিমবঙ্গে শিল্প আসছে না।”
রবিবার ‘‌আর নয় অন্যায়, আর নয় বেকারত্ব’‌ কর্মসূচি শুরু করেছে বিজেপি। সেখানেই বিজেপির জাতীয় সহ সভাপতি সেই মুকুল রায়-ই দাবি করলেন, সিঙ্গুর থেকে টাটাদের ‘তাড়ানো’ ভুল হয়েছিল। তার জেরে এখনও পশ্চিমবঙ্গে শিল্প আসছে না।

এর পরেই মুকুল রায়কে প্রশ্ন করা হয়, সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় তো আপনি তৃণমূলে ছিলেন, তাহলে তখন কেন এর বিরোধিতা করেননি? মুুকুলের জবাব, ‘তখনও তিনি বিরোধিতা করেছিলেন। এখনও বিরোধিতা করছি’। কিন্তু কখন, কীভাবে ‘বিরোধিতা’ করেছিলেন, সে বিষয়ে মুখই খোলেননি মুকুল রায়।

রবিবার ‘‌আর নয় অন্যায়, আর নয় বেকারত্ব’‌ কর্মসূচি শুরু করেছে বিজেপি। বিজেপির দাবি, রাজ্যের ‘বেকারত্ব’-কে হাতিয়ার করেই আগামী বছর বিধানসভা ভোটে নামবে৷ সেই কর্মসূচিই এদিন শুরু হয়েছে। হেস্টিংসে সেই কর্মসূচির সাংবাদিক বৈঠকে কাগজ নিয়ে এসে মুকুল রায় এদিন এই দাবি করেছেন৷
বঙ্গ-বিজেপিরই একাংশের মতে, মুকুল
সেদিন সিঙ্গুর আন্দোলনের পুরোভাগে ছিলেন৷ আজ টাটাদের তথাকথিত ‘তাড়ানোর’ দায় শুধুই তৃণমূল কংগ্রেস বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
(Mamata Banerjee) ঘাড়ে চাপানোর এই চেষ্টা স্রেফ নিজের স্বার্থে ৷ ওই কারনেই যদি রাজ্যে শিল্প না এসে থাকে, তার দায় মুকুল রায়েরও৷

প্রসঙ্গত, সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় মুকুল রায় ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম সঙ্গী। তারপর এই তৃণমূল নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়ে এখন কট্টর তৃণমূল বিরোধী।

আরও পড়ুন- শান্তিনিকেতনে বন্ধ পৌষমেলা, ভার্চুয়ালে প্রতিষ্ঠা দিবসের সভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

Previous articleএবার ‘চিত্রশিল্পী’ নুসরত, ক্যানভাসে তুলির টানে গৌতম বুদ্ধ
Next articleকৃষক আন্দোলনের সমর্থনে চাকরি ছাড়লেন পাঞ্জাব পুলিশের ডিআইজি