কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে বাম কৃষক সংগঠনগুলির মিছিলে অবরুদ্ধ কলকাতা

কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লির উপকণ্ঠে তিন সপ্তাহ ধরে চলছে তুমুল কৃষক বিক্ষোভ। সেখানে সামিল হয়েছে বামেদের কৃষক সংগঠনগুলিও। এবার তাদের যৌথমঞ্চ সর্বভারতীয় কিষান সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটির রাজ্য শাখা দিল্লির আন্দোলনের সমর্থনে নিজেদের শক্তি দেখানোর রাস্তায় নামছে। সেই লক্ষ্যে আজ, বুধবার কলকাতায় বড় জমায়েত করেছে যৌথমঞ্চের নেতৃত্ব।

তাদের দাবি, দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে এদিন অন্তত ৩০ হাজার কৃষক মোদি সরকারের ওই কালা কানুন বাতিলের দাবিতে কলকাতায় জড়ো হবে। একই সঙ্গে সমন্বয় কমিটি বিধানসভার অধিবেশন ডেকে অবিলম্বে রাজ্যে পাল্টা আইন তৈরির দাবিতেও সরব হবে এদিন। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে সমাবেশের পর বিক্ষোভকারীদের তরফে কেন্দ্রের প্রতিনিধি হিসেবে আসা রাজ্যপালকে একটি স্মারকলিপি দেওয়ার কথা তাদের।

জানা গিয়েছে, কৃষক সংগঠনগুলির ব্যানারে “রাজভবন চলো” নাম দিয়ে এই জমায়েতের ডাক দেওয়া হলেও পরোক্ষে প্রায় গোটা বাম শিবির এই কর্মসূচি সফল করতে এদিন আসরে নেমেছে। সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিটু সরাসরি সহমর্মিতা জানাতে এদিন সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে একটি মিছিলও করে রানি রাসমণির এভিনিউতে যোগ দেয়।

এছাড়াও শিয়ালদহ, হাওড়া-সহ শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে কৃষকরা এই সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। সব মিলিয়ে আজ দুপুরের ধর্মতলাকে কেন্দ্র করে গোটা কলকাতা জুড়ে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়েছে। মধ্য কলকাতা কার্যত অবরুদ্ধ হয়েছে।

সরকারকে কৃষকদের কাছ থেকে সমস্ত কৃষিপণ্য লাভজনক দামে কিনতে হবে এবং জনসাধারণকে তা সুলভ মূল্যে দিতে হবে। কোনও মতেই কৃষকরা যেন তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের আইন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। সারা বছর ধরে কৃষকরা তাদের মাথার ঘাম ঝরিয়ে কৃষি পণ্য উৎপাদন করে থাকেন, তাদের যোগ্য সম্মান পাওয়া উচিত। কৃষিজাত পণ্য বেসরকারিকরণ কোনওভাবে করা যাবে না বলে দাবি ওঠে এদিন।

আরও পড়ুন:উত্তরে গেরুয়াঝড় রুখতে একযোগে কাজ করার বার্তা তৃণমূল নেত্রীর

অন্যদিকে, এসইউসি’র কৃষক ও খেতমজুর সংগঠন গত সোম ও মঙ্গলবার ধর্মতলার লেনিন মূর্তির পাদদেশে একই কারণে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। তাদের এই কর্মসূচি সফল করতে দলের বিভিন্ন গণসংগঠন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল।

Previous articleহেস্টিংসে লরির ধাক্কায় মৃত্যু বিমানসেবিকার
Next articleফের রাজ্যপালের নিশানায় রাজ্য সরকার