উত্তরে গেরুয়াঝড় রুখতে একযোগে কাজ করার বার্তা তৃণমূল নেত্রীর

গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব না মিটলে কোচবিহারে আগামী বিধানসভা ভোটে (Assembly Election) লোকসভার মতোই বিপর্যয় হওয়ার আশঙ্কায় রাসমেলার মঞ্চে নেতাদের নাম ধরে একজোট হয়ে চলার নির্দেশ দিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Benarjee)। বুধবার রাসমেলার ময়দানে আধঘণ্টার বক্তৃতার একদম শেষে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ (Rabindrnath Ghosh), উদয়ন গুহ(Udayan Guha), আবদুল জলিল(Abdul Jalil), পার্থপ্রতিম রায়(Partha Parim Roy), জগদীশ বসুনিয়ার(Jagadish Basunia) মতো জেলার প্রথম সারির নেতাদের নাম ধরে ডাকেন। মঞ্চে থাকা নেতারা আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়ান। তার পরেই তৃণমূল নেত্রী বলেন, “এই সভা থেকে বলে যাচ্ছি, তোমাদের একজোট হয়ে চলতে হবে। সবাইকে একসঙ্গে মাঠে যেতে হবে। সকলে একজোট হয়ে মানুষের কাছে যাবে।”

দল সূত্রের খবর, দলনেত্রী প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে সকলকে মিলেমিশে চলতে বলার পরে কোচবিহারে দলের মধ্যেকার কোন্দল আপাতত শিকেয় তুলে বিধানসভা নির্বাচনে একে অন্যের হাত ধরে প্রচারে নামেন কি না সেটা দেখার বিষয়। কারণ, কোচবিহারে বেশ কয়েকজন নেতা একে অন্যকে বেকায়দায় ফেলতে কিংবা হেনস্থা করেছেন বলে আগে একাধিক অভিযোগ গিয়েছে তৃণমূল ভবনে। দলাদলির বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিলেন কিছুদিন আগে দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বিধায়ক মিহির অধিকারী(Mihir Adhikari)। গত লোকসভা ভোটের আগে কোচবিহারের তৎকালীন জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সঙ্গে বিরোধের জেরে দল ছেড়ে বিজেপির টিকিটে ভোটে দাঁড়িয়ে সাংসদ হন নিশীথ প্রামাণিক (Nishith Pramanik)।

আরও পড়ুন:দলবদল স্থগিত, বিরক্ত মুকুল রায়

গত লোকসভায় কোচবিহারে তৃণমূল(Tmc) প্রায় ৪৫ শতাংশ ভোট পেয়েও সব আসনে বিজেপির(Bjp) থেকে পিছিয়ে রয়েছে। তৃণমূল নেত্রী অভিযোগ করেন বহিরাগত নিয়ে এসেছে বিজেপি কিন্তু একই সঙ্গে উত্তরবঙ্গের উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রী কি কি কাজ করেছেন কারো খতিয়ান এ দিন তিনি জানান, রাজ্য পুলিশের গোর্খা ব্যাটালিয়নের সদর দফতর হচ্ছে দার্জিলিঙের নকশালবাড়িতে এবং নারায়ণী ব্যাটালিয়নের সদর দফতর মেখলিগঞ্জে।

Previous articleদলবদল স্থগিত, বিরক্ত মুকুল রায়
Next articleহেস্টিংসে লরির ধাক্কায় মৃত্যু বিমানসেবিকার