শকুনজোলায় গাছে গাছে বাদুর!

বাদুড় নিয়ে যেন গর্বের শেষ নেই এই এলাকার মানুষদের। বাইরে থেকে এই এলাকায় কেউ এলে তেঁতুল গাছের কাছে নিয়ে যান ঝুলন্ত বাদুড় (Bat) দেখাতে। এখানকার বাড়িতে বাড়িতে লাগানো রয়েছে ফলের গাছ (Tree)। যাতে এলাকার কোনো বাদুড় অভুক্ত না থাকে। তাদের বাসস্থান তেঁতুল গাছগুলোতে কেউ ঢিল ছুড়লে সহ্য করতে পারেন না স্থানীয় বাসিন্দারা।

হুগলি (Hoogli) জেলার গোঘাট (Goghat) ২ নম্বর ব্লকের মান্দারণ পঞ্চায়েতের শকুনজোলায় ২২০ ঘর সংখ্যালঘু মানুষের বসবাস। বংশানুক্রমে তাঁরা এলাকায় বাদুড় সংরক্ষণ করে আসছেন। এলাকার বেশকিছু তেঁতুল গাছে কয়েকহাজার বাদুড় নিশ্চন্তে ঝোলে। গ্রামবাসীদের জন্য তাঁদের উপর কোনো আঁচ আসে না।

স্থানীয় বাসিন্দা জানান, হিতাহিত কিছু না বুঝেই বংশানুক্রমে এভাবেই বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ হয়ে চলেছে এলাকায়। বংশবৃদ্ধি হচ্ছে বাদুড়দের। গ্রামবাসীরা আরো জানান সবমিলিয়ে গাছগুলোতে প্রায় চার হাজারের বেশি বাদুড় বসবাস করে। সন্ধের পর খাদ্যসংগ্রহে চলে যায় দূরের গ্রামে। আবার পরের দিন ভোরের আগে ফিরে আসে। কারো কোনো ক্ষতি করে না।

এলাকার আরেক বাসিন্দা জানান, মাঝেমধ্যে চামচিকে মারার দল আসে কিন্তু তাড়িয়ে দেওয়া হয় তাদের। বাইরে থেকে এলাকায় কেউ এলে তাদেরকেও গাছে ঢিল মারতে বারণ করা হয়। কোনো বাদুড় অসুস্থ হলে দূরের গ্রামে খাবার সংগ্রহে যেতে না পারলে এলাকার তার জন্য ফলের গাছ লাগানো আছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে গ্রামবাসীদের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন বহু পরিবেশপ্রেমী মানুষ।

বন দফতরের ( Forest Department) মতে, বাদুড় নিয়ে অযথা আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। বাদুড় মারা এমনিতে নিষিদ্ধ। তবে এটা বলতেই হবে এই গ্রামের মানুষরা বংশানুক্রমে এই বাদুড় সংরক্ষণ করে এক বিশেষ নজির গড়েছে।

আরও পড়ুন-জিতেন্দ্র তিওয়ারির দুই ঘনিষ্ঠের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে তুমুল জল্পনা

Previous articleজিতেন্দ্র তিওয়ারির দুই ঘনিষ্ঠের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে তুমুল জল্পনা
Next articleসংক্রমণ বাড়ছে, ফের কড়া বিধিনিষেধের জালে লন্ডন