হাসিনার সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে মোদির তুরুপের তাস বাঙালিয়ানা

ভারত বাংলাদেশের হাইভোল্টেজ বৈঠকে মোদি কার্যত তুরুপের তাস হিসাবে রাখলেন তাঁর বাংলা কার্ড! বেশ ভূষা থেকে বক্তব্যে বাঙালিয়ানায় মোদি দিতে চাইলেন বড় বার্তা।
মুক্তিযুদ্ধের বিজয় দিবসের পরদিনই আজ বৃহস্পতিবার ভারত ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা ভার্চুয়াল মিটে বসে দ্বিপাক্ষিক একাধিক প্রকল্পের সূচনা করেন। মোদি বলেন, ভারতের ‘নেইবার ফার্স্ট’ নীতির অন্যতম স্তম্ভ বাংলাদেশ। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান হাসিনাকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান তিনি । ‘৭১ এ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের লড়াইয়ে ভারত কীভাবে বাংলাদেশকে সমর্থন করে, সেই প্রসঙ্গও এই বার্তায় উল্লেখ করেন।
চিনের আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে এদিন ভারত বাংলাদেশের পুরোন দিনের কথা স্মরণ করান মোদি। ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু’ প্রদর্শনী উদ্বোধন করে মোদি বলেন, মহাত্মা ও বঙ্গবন্ধুই যুব সমাজকে অগ্রগতির পথে নিয়ে যাবে। এদিন বঙ্গবন্ধুর সম্মানে একটি ডাকটিকিট প্রকাশ করেন মোদি ।
১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের পর হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল। এদিন নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনা এই রুটটির ফের উদ্বোধন করেন। এছাড়াও বস্ত্র, কৃষি, হাইড্রোকার্বন সহ একাধিক ক্ষেত্রে দুই দেশের সহযোগিতা বাড়াতে ৭ টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
এই বৈঠকে দু’দেশে প্রবহমান অভিন্ন নদীগুলোর জল বন্টনের বিষয়টি প্রাধান্য পায়। ঢাকা দু’দেশের মধ্যে বয়ে চলা প্রধান সাতটি নদী মনু, মুহুরি, গোমতি, ধরলা, দুধকুমার, ফেনী ও তিস্তার জল বন্টনের ইস্যুটিকে একটি কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসার প্রস্তাব দেয়।

Previous article৫৫ বছর পর চালু হলদিবাড়ি-চিলাহাটি ট্রেন, কৃতিত্বের দাবিতে আসরে তৃণমূল-বিজেপি
Next articleঅমিত শাহের সভার আগে উত্তপ্ত কেশপুর, হামলার অভিযোগ বিজেপির