কেরলে পুর-পঞ্চায়েত ভোট লালে লাল, টানা দ্বিতীয়বার বামদের সরকারে ফেরার প্রবল সম্ভাবনা

পাঁচ বছর অন্তর কেরলে সরকার (kerala Government) বদলে যাওয়ার ছবি কি এবার পাল্টে যাবে? রাজ্যে সদ্য শেষ হওয়া পঞ্চায়েত আর পুর ভোটের ফলাফল সেরকমই ইঙ্গিত দিচ্ছে। সেই ফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে ১৪০ আসনের কেরল বিধানসভায় ( Kerala Bidhansabha) বামেরা অর্থাৎ এলডিএফ (LDF) এগিয়ে রয়েছে ১০১ আসনে। অন্যদিকে ইউডিএফ (UDF) ৩৮ আসনে। মাত্র একটিতে বিজেপি (BJP)।

আরও পড়ুন : বিজেপির হয়ে নির্বাচনী প্রচারে রাজ্যে উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবচন্দ্র মৌর্য

মাত্র দেড় বছরে এই পাল্টে দেওয়া ফল। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে (Loksabha election) ২০টি আসনের মধ্যে বামেদের ভাগ্যে জুটেছিল মাত্র একটি আসন। ১৯টিতে ইউডিএফ। লোকসভা নির্বাচন পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে বামেরা দেড় বছর আগের ভোটে এগিয়ে ছিল মাত্র ১৬টি বিধানসভা আসনে (Bidhansabha Seat)। ২০১৬-র বিধানসভা ভোটে বামেদের আসন যেখানে ছিল ৯১। পঞ্চায়েত আর পুর ভোটে ( Panchayet and Municipality Election) ঘুরে দাঁড়ানোয় টানা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে তারা। আর লক্ষ্যণীয় হলো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভয়-ভীতি দেখানো সত্ত্বেও বিজেপি এগিয়ে মাত্র একটি বিধানসভায়। সেটি হলো নেমম বিধানসভা কেন্দ্র। ফলে তাদের সাফল্য দূরবীন দিয়ে দেখতে হচ্ছ। কিন্তু লক্ষ্যণীয় হলো এবারের পঞ্চায়েত ও পুরসভা ভোটে যেখানে ইউডিএফ প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছে, সেখানে দ্বিতীয় স্থানে বাম নয়, অনেক জায়গাতেই দ্বিতীয় স্থানে বিজেপি। স্বভাবতই এই ফল চিন্তার ভাঁজ বাম শিবিরে।

কেন এই ফল? বিজেপি কেন খাতা খুলতে পারছে না? কেরল সিপিএমের কার্যনির্বাহী সম্পাদক বিজয়রাঘবনের (Keral Cpm actiing Secretary) দাবি, বিজেপির মেরুকরণ কর্মসূচি রাজ্যের মানুষ দূরে ঠেলে দিয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগও মাঠে মারা গিয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা এবার নেই। বিজেপির শ্রমিক-কৃষক বিরোধী নীতি মানুষ বুঝতে পেরেছে। তাই মানুষ তাদের দূরে ঠেলে দিয়েছে। আর কংগ্রেসের স্লোগান বিজেপির সঙ্গে মিলে যাওয়ায় মানুষ তাদেরও দূরে ঠেলে দিয়েছে। কংগ্রেসের দিল্লির নেতৃত্ব তাই কেরলের নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছে, সস্তার অভিযোগ না তুলে মানুষের সমস্যার কথা তুলে ধরতে। তাঁর আরও দাবি, কোভিড মোকাবিলায় রাজ্যের ব্যাপক সাফল্যও মানুষের মনে দাগ কেটেছে।

আর বামেরা একুশের ভোটকে টার্গেট করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনকল্যাণ কর্মসূচি (Pro People programme) নেওয়ার। বিনামূল্যে রেশনের কিট (Ration kit) , বিনা স্বাস্থ্য কর্মসূচি (Health Programme) আগামিদিনে নেওয়া হবে। জানুয়ারির শুরুতেই রাজ্য কমিটির বৈঠকে ( State Committee Meeting) এ নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। আর ওই বৈঠক থেকেই টানা দ্বিতীয়বার ভোটে জিততে বামেরা ঝাঁপিয়ে পড়তে চায়।

Previous articleরাজ্যবাসীর স্বস্তি, সপ্তাহের শুরুতেও বাড়ল না দাম
Next articleমরুরাজ্যে ৩৬ টি পুরপ্রধান পদে জয়ী কংগ্রেস, বিজেপি মাত্র ১২