বড়দিন ও যাদবপুরে বামেদের শ্রমজীবী ক্যান্টিন

সুদীপ সেনগুপ্ত

”সান্তা আসুক শান্তি নিয়ে..

দিনও বদলে যাক,
আগুন লাগুক অস্ত্রেতে, আর
যুদ্ধের সাজপোষাক…
জ্বলে যাক…
পুড়ে যাক…
বড়দিনে সব শিশুরা
দুবেলা খেতে পাক…!”

অন্যান্য দিনের মতোই সকাল সকাল খাবারের প্যাকেট ডিস্ট্রিবিউশন শুরু হয়েছিলো আজ…
এখন প্রতিদিন ৭৫ টি বিনেপয়সার প্যাকেট সহ মোট ৭৫০ জনের কাছে দুপুরের খাবার পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে
Jadavpur Sramajibi Canteen থেকে..

মেনুতে ছিলো
ভাত,
বাঁধাকপির তরকারি,
তেলাপিয়া মাছের ঝোল…

সকলের আগে এসে প্যাকেট সংগ্রহ করে নিয়ে যায় যে বাচ্চা মেয়েটি..
সে হঠাৎ বলে উঠলো..
‘কাকু, কেক দেবে না আজকে!’

সত্যিই তো!
মারাত্মক ভুল হয়ে গিয়েছে…
যে যার বাড়ির জন্য কেক কিনেছি ঠিক..
কারোর কারোর বাড়িতে কেক তৈরি হয়েছে…
আর শ্রমজীবী ক্যান্টিনে কেক থাকবে না!

সাথে সাথে খাবার দেওয়া বন্ধ করে তড়িঘড়ি কেক নিয়ে আসলেন কমরেডরা…
মেনুতে যুক্ত করা হলো ছোট ছোট টিফিন কেক…
আর কি ই বা পাওয়া যাবে,
এত তাড়াতাড়ি…

যাই হোক…
টিফিন কেক হলেও কেক তো বটে…

এইভাবেই এগিয়ে চলছে আমাদের যৌথ রান্নাঘর…
আপনাদের সকলের সহযোগিতায়
আজ ২৬৭ তম দিনে….!

আরও পড়ুন- “তোমার খোলা হাওয়া”, বড়দিনে মুক্তি পেলো মিমির নতুন মিউজিক ভিডিও!

Previous articleচলন্ত ট্রেনে যুবতীকে ধর্ষণ! নির্যাতিতাকে ছুঁড়ে ফেলে দিল অভিযুক্তরা
Next articleসিরিজে সমতা ফেরাতে মরিয়া রাহানে