জোটধর্মও মানছে না বিজেপি, এবার জেডিইউ ভাঙিয়ে শক্তিবৃদ্ধি!

নিজেদের শক্তিবৃদ্ধির লক্ষ্যে জোটধর্ম জলাঞ্জলি দিল বিজেপি (bjp)। যে কোনও মূল্যে সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে নীতি-আদর্শের ধার ধারবেন না তাঁরা, ফের তা প্রমাণ করে দিলেন জেপি নাড্ডা-অমিত শাহরা। গেরুয়া শিবিরের শক্তি বাড়াতে এবার জোট শরিক নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ ( jdu)-এর বিধায়কদের ভাঙিয়ে আনলেন বিজেপি শীর্ষ নেতারা। পদ্ম শিবিরের এই ‘দাদাগিরি’তে স্বাভাবিকভাবেই প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ জেডিইউ প্রধান ও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (nitish kumar)।

অরুণাচলপ্রদেশে (Arunachal Pradesh) গত বিধানসভা নির্বাচনে জিতে নীতীশ কুমারের দলের সাত প্রার্থী বিধায়ক হয়েছিলেন। রাজ্যে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা লাভ করেছিল জেডিইউ। যদিও বিরোধী দলে থেকেও বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডুর বিভিন্ন সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছিলেন জেডিইউ বিধায়করা। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি নেতারা জেডিইউ বিধায়কদের দলে টানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত সাত বিধায়কের ছয়জনই রাজনৈতিক ডিগবাজি খেয়ে বিজেপি শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। যে ছয় বিধায়ক গেরুয়া শিবিরে ভিড়েছেন তাঁরা হলেন, হায়েং মাংফি, জিক্কে টাকো, ডোংরি সিংয়োনজু, তালেম তাবোহ, ক্যাঙ্গন টাকু ও দোরজি ওয়াংদি খারমা। জেডিইউয়ের ৬ বিধায়ক বিজেপিতে নাম লেখানোর পর ৬০ সদস্যবিশিষ্ট অরুণাচল বিধানসভায় গেরুয়া শিবিরের বিধায়ক সংখ্যা বেড়ে হল ৪৮।

এদিকে জেডিইউ বিধায়কদের দল ভাঙিয়ে বিজেপিতে সামিল করার মধ্যে অন্যায় দেখছেন না রাজ্য বিজেপি সভাপতি। এই কাজকে আদৌ জোট ধর্মের বিরোধিতা বলে মানতে রাজি নন অরুণাচল বিজেপির (bjp) সভাপতি বিয়ুরাম ওয়াগহে। তাঁর কথায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের প্রতি আস্থার কারণে জেডিইউ (jdu) বিধায়করা বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। এতে অন্যায় কিছু নেই। অন্যদিকে বিজেপির কাছে নীতীশের দল অপদস্থ হওয়ায় উল্লসিত বিহারের প্রধান বিরোধী দল আরজেডি (rjd)। লালুর দলের নেতারা নীতীশের মহাজোট ত্যাগের ইতিহাস মনে করিয়ে দিয়ে বলছেন, এ হল যেমন কর্ম, তেমনি ফল।

আরও পড়ুন-কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে রাহুল ব্যর্থ: শিবসেনা

Previous articleদীর্ঘ বাইক মিছিল নিয়ে নিহতের পরিবারকে ভরসা কোচবিহারের তৃণমূল যুব সভাপতির
Next article২১ বছর তৃণমূলে থাকার জন্য লজ্জিত শুভেন্দু, এ প্রসঙ্গে কী বললেন পার্থ