Saturday, August 23, 2025

শুভেন্দুর পাল্টা শান্তনু? জল্পনা তুঙ্গে

Date:

Share post:

যেভাবে তৃণমূল থেকে এক এক করে সমস্ত পদ ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Shubhendu Adhikari), ঠিক একই রাস্তায় নাকি গেরুয়া শিবির ছেড়ে শাসকদলের দিকে এগোচ্ছেন বিজেপির (Bjp) এক সাংসদ। জল্পনা তিনি ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ির ছেলে শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)। বড়দিনের বড় জল্পনা- সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূলে (Tmc) যোগ দিতে চলেছেন বনগাঁর (Bonga) বিজেপি সাংসদ। এই নিয়ে শান্তনু প্রকাশ্যে অবশ্য মুখ খুলছেন না। প্রতিক্রিয়া জানায়নি বিজেপি, তৃণমূল কোনও পক্ষই।

তবে, সূত্রে খবর চলতি সপ্তাহেই গোপনে শান্তনুর সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন শাসকদলের এক মন্ত্রী। সম্ভবত বৈঠকে ছিলেন প্রশান্ত কিশোরও (Prasant Kishor)। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনের আগেই সাংসদ পদ ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন শান্তনু ঠাকুর। তারপর বনগাঁরই কোনও বিধানসভা আসন থেকে প্রার্থী হবেন তিনি। জিতলে মন্ত্রীও করা হবে বলে সূত্রের খবর।

এর পাশাপাশি শান্তনু ঠাকুরকে জেড প্লাস সিকিউরিটি ও বুলেট প্রুফ গাড়িও দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। আর শান্তনুর ছেড়ে আসা লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হবেন তার কাকিমা মমতাবালা ঠাকুর (Mamatabala Thakur)। পারিবারিক স্তরে দুজনের মধ্যে বিবাদ থাকলেও এবার মতুয়া সম্প্রদায়ের উন্নয়নে দুজনকেই একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

অমিত শাহ (Amit Shah) বঙ্গ সফরে আসার আগেই কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijaybargya) ঠাকুরনগরে গিয়ে শান্তনুর সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকেই কৈলাস জানিয়ে দিয়েছিলেন, জানুয়ারি মাসের মধ্যেই সিএএ লাগু হবে। এমনকী, বনগাঁ ও রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে শান্তনুর পছন্দমতো প্রার্থী দেওয়ার আশ্বাস দেয়া হয় বলে সূত্রের খবর। কিন্তু সম্প্রতি অমিত শাহ বাংলায় এসে জানিয়ে দেন, কোভিডের টিকাকরণ শুরু হওয়ার পরেই এনআরসি চালু করার কথা ভাববে কেন্দ্রীয় সরকার। সব মিলিয়ে বাংলায় সিএএ কার্যত বিশ বাঁও জলে। এর থেকেই শান্তনুর মনে হয় যে বিজেপি মতুয়াদের সঙ্গে প্রতারণাই করছে। এই নিয়ে ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি ক্ষোভও জানান। আর প্রকাশ্যে জানিয়ে দেন অমিত শাহ ঠাকুরনগরে (Thakur nagar) এসে সিএএ (Caa) নিয়ে স্পষ্ট ঘোষণা না করে যাওয়া অবধি তিনি বিজেপির কোনও সভা বা কর্মসূচিতে যোগ দেবেন না।

এই পরিস্থিতিতে শান্তনু যোগদান করলে বনগাঁ ও রানাঘাট লোকসভা এলাকায় ২০১৯ সালে শাসকদলে যে জমি হারিয়েছিল তা আবার ফিরে আসবে বলে আশা।

spot_img

Related articles

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মোদির: কটাক্ষ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশ ইস্যুকে বার বার জাগিয়ে তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদতে নিজেদের ভুল নিজেরাই চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।...