ছোটা রাজনের নামে প্রকাশিত ডাকটিকিট, ডাক বিভাগের কাণ্ডে তাজ্জব গোটা দেশ

একজনের পরিচয় আন্তর্জাতিক মানের অপরাধী(international criminal) এবং দ্বিতীয় জন ভাড়াটে শার্প শুটার। কুখ্যাত এই দুই দুষ্কৃতী ছোটা রাজন(Chhota Rajan) এবং মুন্না বজরঙ্গির(Munna Bajrangi) নামেই এবার ডাকটিকিট(postage stamp) প্রকাশ করল ডাক বিভাগ। চোখ কপালে তুলে দেওয়ার মতো এই ঘটনাই ঘটেছে কানপুরের(Kanpur) ডাক বিভাগে। তবে কুখ্যাত এই অপরাধীদের নামে কীভাবে ডাকটিকিট প্রকাশ করতে পারে ডাক বিভাগ? এই প্রশ্নের উত্তরে অবশ্য কর্তৃপক্ষের দাবি, ‘বড় ভুল হয়ে গিয়েছে’। তবে এত বড় ভুল কিভাবে সম্ভব তা জানতেই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করল ভারতীয় ডাক বিভাগ।

জানা গিয়েছে, মাই স্টাম্প যোজনার আওতায় দুটি ডাকটিকিট প্রকাশ করেছিল কানপুরের ডাক বিভাগ। আর তা হাতে পড়তেই চোখ কপালে উঠে সাধারণ মানুষের। দায়িত্বজ্ঞানহীনতা এতটাই যে টিকিট জারি করার আগে ফটো বা সার্টিফিকেট কোনটাই চাওয়া হয়নি। জানা গেছে মাই স্টাম্প যোজনার আওতায় ডাকটিকিট গুলির জন্য মোট ৬০০ টাকা জমা ছিল। আর তাতেই ৫ টাকা মূল্যের ১২টি করে ডাকটিকিট ছাপিয়ে দেওয়া হয় ছোটা রাজন ও মুন্না বজরঙ্গির নামে। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় পোস্টমাস্টার জেনারেল বিকে শর্মা বলেন, ‘সংবাদমাধ্যম থেকেই এই খবর পেয়েছি আমি। এই ধরনের ভুল কোনওভাবেই ক্ষমা করা যায় না। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন:৭ জানুয়ারি কেন মুখ্যমন্ত্রীর নন্দীগ্রামের সভা বাতিল? কারণ ব্যাখ্যা মন্ত্রী সুব্রতর

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে মাই স্টাম্প যোজনা শুরু হয়েছিল দেশে। এর ফলে ৩০০ টাকা দিয়ে যে কোনও ব্যক্তি নিজের ছবি দিয়ে ডাক টিকিট জারি করতে পারেন। অন্য ডাক টিকিটের মতোই মান্যতা দেওয়া হবে নতুন এই ডাকটিকিটকে। যে ব্যক্তির নামে ডাকটিকিট জারি হবে তিনি জীবিত থাকা আবশ্যিক। এমনকী তাঁকে ডাকবিভাগে সশরীরে গিয়ে বিভিন্ন তথ্য প্রদান করতে হবে।

Previous article৭ জানুয়ারি কেন মুখ্যমন্ত্রীর নন্দীগ্রামের সভা বাতিল? কারণ ব্যাখ্যা মন্ত্রী সুব্রতর
Next articleনির্মলা মিশ্রের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ, দ্রুত দেওয়া হতে পারে ছুটি