তরাই-ডুয়ার্সের টাইগারকে দলে টেনে আদিবাসীদের বার্তা তৃণমূলের

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে (Assemble Election) যত এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে দলবদলের হিড়িক। শুধু রাজনৈতিক নেতারা শিবির বদল করছেন, তেমনটা নয়, রাজনীতির বাইরেই মানুষরাও যোগ দিচ্ছে সক্রিয় রাজনীতিতে। চিকিৎসক, শিক্ষক, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক থেকে শুরু করে গণ সংগঠননের নেতারা।

তারই অঙ্গ হিসেবে এবার শাসক দল তৃণমূলে (TMC) যোগদান করলেন তরাই-ডুয়ার্সের (Tarai Dooars) “টাইগার” (Tiger) নামে পরিচিত রাজেশ লখরা (Rajesh Lokhra)। ভারতীয় মূলনিবাসী আদিবাসী বিকাশ পরিষদের সেন্ট্রাল কমিটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। এবার টাইগারকে দলে টেনে একুশের ভোটে আদিবাসীদের মন পেতে মরিয়া ঘাসফুল শিবির। আজ, সোমবার রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক ও তৃণমূল নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন টাইগার।

আরও পড়ুন-দুয়ারে সরকারের পর এবার মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত “পাড়ায় পাড়ায় সমাধান”

তৃণমূলে যোগ দিয়ে আদিবাসী সমাজের প্রতিনিধি টাইগার জানান, “তরাই-ডুয়ার্সে প্রায় ৭৫ শতাংশ আদিবাসী ভোট রয়েছে। আদিবাসীদের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মাননীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কাজ করছেন, সেই জন্যই দলে যোগদান।”

তবে টাইগার আর বিমল গুরুং-এর সম্পর্ক ভাল নয় ওই এলাকায়। দুই বিপরীতে মতাদর্শের নেতা তাঁরা। কিন্তু একুশের নির্বাচনে দু’জনেই তৃণমূলকে সমর্থন দেবে। এ প্রসঙ্গে টাইগারের বক্তব্য, “একসঙ্গে লড়াইয়ে অসুবিধা নেই, কিন্তু বাংলাকে ভাগ হতে দেব না।”

উল্লেখ্য, রাজেশ লাখরা ওরফে টাইগার আগে বামদের সমর্থক ছিলেন। কিন্তু ২০০৬ সালের পর থেকে বামেদের সঙ্গে আর সম্পর্ক ছিল না এই আদিবাসী নেতার। পর্যন্ত বাম সমর্থক ছিলেন তিনি। তৃণমূলের তরফে দাবি, মালবাজার, নাগরাকাটা, মাদারিহাট, কালচিনি, কুমারগ্রামের মত পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে টাইগারের প্রভাব রয়েছে। প্রভাব রয়েছে তাঁর আদিবাসী বিকাশ পরিষদের। সেক্ষেত্রে টাইগারের তৃণমূলে যোগদান উত্তরবঙ্গের আদিবাসী রাজনীতিতে খুব তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

 

Previous articleএবার সিঙ্গুরে পোস্টার ‘স্যারের অনুগামী’দের
Next articleব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ভূতুড়ে টাকা! তাজ্জব গ্রাহকরা