করোনা (Corona) ভ্যাকসিন (Vaccine) ট্রায়ালের দ্বিতীয় ডোজ নিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার (KMC)মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। গত ২ ডিসেম্বর তিনি প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন। ২৮ দিন পর, এদিন তাঁকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়। প্রথম ডোজ নেওয়ার পর তাঁর শুধু পেটের সমস্যা ছাড়া আর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। দ্বিতীয় ডোজের পর ১৫ দিন তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এরপর দেখা হবে, তাঁর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কি না।

এদিন দ্বিতীয়বার করোনার ভ্যাকসিন ট্রায়ালের ডোজ নিতে
বেলেঘাটা নাইসেডে আসেন ফিরহাদ হাকিম। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের মন্ত্রী জানান, করোনার ভ্যাকসিন অবশ্যই সাকসেসফুল হবে। এই নিয়ে কোনও দ্বিধা নেই। পাশাপাশি তিনি নাইসেডের ডিরেক্টর শান্তা দত্ত ও সমস্ত চিকিৎসকদের আরও একবার ধন্যবাদজ্ঞাপন করেছেন। ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, প্রথম ট্রায়াল নেওয়ার পর হাসপাতালের পক্ষ থেকে বার বার করে তাঁকে ফোন করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল কোনওরকম অসুবিধা হচ্ছে কিনা।

ফিরহাদ আরও বলেন, ২০২১ সালের মধ্যেই কো-ভ্যাকসিন চালু হয়ে যাবে এবং শুধুমাত্র একটি কোম্পানির ওপর ভরসা করে থাকলে হবে না। যেহেতু তিনি বাঙালি এবং ভারতীয়, তাই ভারতের তৈরি আবিষ্কারের ওপর সম্পূর্ণভাবে বিশ্বাস রয়েছে। তাই তিনি ভারত বায়োটেক জিনিসের ওপর ভরসা রাখতে চান।

ভ্যাকসিন শুরু হলে পুরসভা থেকে সবচেয়ে আগে প্রথমসারিতে দাঁড়িয়ে যাঁরা করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করছেন, সেই কোভিড যোদ্ধাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। স্বাস্থ্যকর্মী, ডাক্তার, নার্স, পুলিশদের সবার আগে এই কো-ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
নাইসেড-এর ডিরেক্টর শান্তা দত্ত (Shanta Dutta) জানিয়েছেন, আজ ফিরহাদ হাকিম এখানে আসেন এবং তাঁকে দ্বিতীয়বারের জন্য এই ট্রায়াল দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ৫০০ জনেরও বেশি মানুষকে এই ট্রায়াল রান করানো হয়েছে। তাঁদের এই প্রসেস খুব ভালো ভাবেই চলছে বলে দাবি করেছেন শান্তাদেবী।
যদি এই প্রসেসের মাঝখান থেকে কেউ বেরিয়ে যেতে চান আর ট্রায়াল নেবেন না, সেটাও করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন:নিজেই নিজের অস্ত্রোপচার করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন এক চিকিৎসক! কে জানেন?
