‘ঠেলায় পড়লে বিড়ালও গাছে ওঠে’, তমলুকে তৃণমূলকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

তমলুকের সভা থেকে বৃহস্পতিবারও তৃণমূলকে যথারীতি তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ প্রাক্তণ পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রকে সতর্ক করে বলেছেন, “কাঁচের ঘরে বসে ঢিল ছুঁড়তে যাবেন না, বিপদে পড়বেন৷” তৃণমূলের এক সাংসদ বলেছিলেন, ‘মেদিনীপুরের মানুষরা বিশ্বাসঘাতক’, সেই প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু এদিন বলেছেন, “স্বাধীনতা সংগ্রামের পীঠস্থান অবিভক্ত মেদিনীপুরের মানুষ ভোটের বাক্সেই এই মন্তব্যের জবাব দেবেন, অপেক্ষা করুন”৷

আরও পড়ুন : শুভেন্দু ‘উইপোকা’, এরা যত তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যায় ততই মঙ্গল, এবার সরব সোহম

শুভেন্দু এদিন বলেন:

◾মদন মিত্র তাঁর ছেলের থেকেও বয়সে ছোট সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ছেলের কাছে ৫০ হাজার ভোটে হেরেও শিক্ষা হয়নি৷ এখনও বড় বড় কথা বলে চলেছেন৷ মদনবাবুর উপনির্বাচনে তৃণমূলের নেতারা নিজেদের ইমেজ খারাপ হওয়ার ভয়ে প্রচার করতে যাননি৷ তখন ওনার ছেলে আমার কাছে এসে মিটিং করে দেওয়ার অনুরোধ করে৷ এই শুভেন্দু অধিকারীই সেদিন একের পর এক সভা করেছিলো৷ বড় বড় কথা বলা বন্ধ করুন৷

◾রাজ্যের কিষাণ-নিধি প্রকল্পে সায় দেওয়া নিয়ে কটাক্ষ করে বলেন, এখন বলছে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ নিধি প্রকল্প চালু করলাম। ঠেলায় পড়লে বিড়ালও গাছে ওঠে। তবে মাথায় রাখবেন, ভারত সরকারের টাকা গত দু’বছর কৃষকদের নিতে দেননি৷ বাংলার কৃষকদের বঞ্চিত করা ১৪ হাজার টাকা রাজ্য সরকারকেই দিতে হবে৷

◾তৃণমূল দল এবং সরকার চালাচ্ছে দেড়জন৷ সব ক্ষমতা দক্ষিণ কলকাতার হাতে৷ রাজ্যের অন্য জেলাগুলি তো বটেই, বঞ্চিত উত্তর কলকাতা, হাওড়া জেলাও৷

তমলুকের সভায় আসার আগে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ঝাড়গ্রামের নেতাইয়ে শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন৷ তিনি নেতাইয়ে শহিদ বেদীতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। শহিদ পরিবারের সদস্য ও আহতদের হাতে তুলে দেন ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য। ওখানেও তৃণমূলকে কটাক্ষ করে দাবি করেন, ” আমি কোনওদিন নেতাইয়ে রাজনৈতিক পতাকা, ব্যানার নিয়ে আসিনি। যাঁরা এতদিন আসেননি, তাঁদের ব্যানার এখন নেতাইয়ে দেখা যাচ্ছে।”

এদিনও তমলুকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন পুর এলাকার বহু কর্মী৷

Advt

Previous articleখিদিরপুরের পরিত্যক্ত কারখানায় দাউ দাউ করে জ্বলছে মহিলা, তারপর?
Next articleঅমিতাভে বিরক্ত, কোভিড কলার টিউন বন্ধের দাবিতে মামলা আদালতে