করোনার সংক্রমণের মধ্যে বেশ কিছু রাজ্যে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে বার্ড ফ্লু। চার রাজ্যে ১২টি বার্ড ফ্লু আক্রান্ত অঞ্চল চিহ্নিত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানে খামারগুলিকে কড়া নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে মুরগির মাংস আর ডিম খাওয়া কতটা নিরাপদ এপ্রসঙ্গে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organisation)। শুক্রবার সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, কেরল, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা ও গুজরাত বার্ড ফ্লু আক্রান্ত। এর জেরে গোটা দেশে চিকেন-সহ পাখির মাংসের বিক্রি প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই কেরল, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচলপ্রদেশ, রাজস্থানে হাঁস, মুরগি, পাখির মৃত্যু বেড়েছে। মৃত পাখিদের শরীরে H5N1 ভাইরাস মিলেছে। তারপরেই সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্র। শুধু এই চার রাজ্যেই নয় বার্ড ফ্লু এখন দিল্লি, অসমেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। শনিবার দিল্লিতে (Delhi) তিনটি পাখির অস্বাভাবিক মৃত্যু চোখে পড়েছে। এই পাখিগুলির শরীরে H5N1 ভাইরাসের অস্তিত্ব আছে কিনা তা এখনও ,জানা যায়নি। দিল্লির কেজরিওয়াল সরকার ইতিমধ্যেই এক সপ্তাহের জন্য অন্য রাজ্য থেকে পোল্ট্রি সামগ্রী আমদানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দশ দিনের জন্য একটি বিখ্যাত বাজারও বন্ধ করা হয়েছে। অসম সরকার ইতিমধ্যেই উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির বাইরে থেকে মাংস আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
এখন প্রশ্ন উঠছে এই পরিস্থিতিতে মুরগির মাংস আর ডিম খাওয়া কতটা নিরাপদ? এ প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, মুরগির মাংস আর ডিম সঠিকভাবে রান্না করে খেলে সমস্যা হওয়ার কোনও কারণ নেই। রান্না করার সময় তাপমাত্রা হয় সাধারণত ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মাংসের সমস্ত অংশের তাপমাত্রা যদি ৭০ ডিগ্রিতে পৌঁছয়, তাহলে ভাইরাস আর বেঁচে থাকতে পারে না। রান্নার আগে মাংস ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। বাড়িতে মুরগি না কাটাই ভালো। পাখি বা মুরগির দেহ স্পর্শ করলে ভালো করে হাত ধুতেই হবে। এসব নিয়ম মেনে চললে পাখিদের থেকে মানুষের সংক্রমণের সম্ভাবনা কম।
আরও পড়ুন-স্বামী প্রিন্স ফিলিপের সঙ্গে করোনা টিকা নিলেন ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ