শুধু সরকারের জন্য ২০০ টাকা, খোলা বাজারে ভ্যাকসিনের দাম জানালেন সেরাম প্রধান

আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে করোনা টিকাকরনের কাজ পুরোদমে শুরু করতে চলেছে ভারত সরকার(Government of India)। এরই মধ্যেই সেরাম ইনস্টিটিউটের(Seram institute) তরফে প্রথম দফার ৫৬.৫ লক্ষ ডোজ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষের তরফে শুরুতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল করোনা টিকার(covid vaccine) প্রতি ডোজের দাম পড়বে ২০০ টাকা। অবশ্য কেন্দ্রীয় সরকার প্রথম দফায় ৩ কোটি করোনা টিকা বিনামূল্যে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। এরই মাঝে এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদার পুনাওয়ালা(Adar poonawala) জানিয়ে দিলেন, শুধুমাত্র সরকারের জন্যই করোনা টিকার প্রতি ডোজ মাত্র ২০০ টাকা করা হয়েছে। খোলাবাজারে এর দাম পড়বে ১০০০ টাকা প্রতি ডোজ।

এদিন সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুনাওয়ালা জানান, ‘সরকারের সঙ্গে আমরা কোনও রকম দরাদরি করিনি । দেশবাসীর সুরক্ষার জন্যই আমরা বিশেষ দামের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল স্বাস্থ্যকর্মী, বৃদ্ধ মানুষগুলোকে রক্ষা করা। এরপর যখন সরকারের থেকে অনুমতি মিলবে তখন খোলাবাজারে এই ভ্যাকসিন বিক্রি করব আমরা।’

পাশাপাশি পুনাওয়ালা আরও জানান, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ এই ভ্যাকসিনের জন্য আবেদন জানালেও আমাদের প্রথম লক্ষ্য ভারত সরকার। ভারত সরকারের তরফে ১.১ কোটি কোভাসিল্ডের বরাত দেওয়া হয়েছে। এবং সরকারের শেষ বরাত ৫.৬ কোটি ডোজ ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে। সেরাম ইনস্টিটিউটের তরফে প্রতিমাসে ৭ থেকে ৮ কোটি করোনা টিকা উৎপাদন করা সম্ভব। পুনাওয়ালা আরও বলেন, আমরা দেশের সাধারণ মানুষ, দুর্বল, গরীব এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের সাহায্য করতে চাই। আর সেই জন্য ভারত সরকারের অনুরোধে প্রথম ১ কোটি ডোজের জন্য ২০০ টাকা করে দাম ধরা হয়েছে। শেষ ৫.৬ কোটি ডোজের জন্য দাম আমরা ২০০ টাকার সামান্য কিছু বাড়িয়েছি। সেই টাকাটা আমাদের উৎপাদনের জন্য খরচের টাকার সমান। এরপর যখন খোলা বাজারে এই ভ্যাকসিন ছেড়ে দেওয়া হবে তখন এর দাম পড়বে ১০০০ টাকা প্রতি ডোজ।

আরও পড়ুন:সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই প্রতিবেশী দেশগুলোতে ভ্যাকসিন পাঠাবে ভারত

পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুনাওয়ালা আর বলেন, সৌদি আরব, ব্রাজিল, বাংলাদেশ ও আফ্রিকান দেশগুলির সাথে আমাদের চুক্তি রয়েছে। এই দেশগুলি ভারতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে ভ্যাকসিনের আশায়। কারণ বিশাল উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে ভারতের কাছে। ছোট ছোট সংস্থাগুলি এই ভ্যাকসিন উৎপাদনে সক্ষম নয়। যদিও ভারত সরকার এখনও ভ্যাকসিন রপ্তানির ওপর কোনও রকম নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। তবে ব্রাজিলের তরফ থেকে ২ মিলিয়ন কোভিসিল্ড ডোজের যে অর্ডার দেওয়া হয়েছিল তা এখনও মঞ্জুর করা হয়নি সরকারের তরফে।

Advt

Previous articleশিলিগুড়িতে ব্যাঙ্কে ডাকাতির চেষ্টা, বাধা পেয়ে রক্ষীকে কোপ
Next articleসপ্তাহ খানেকের মধ্যেই প্রতিবেশী দেশগুলোতে ভ্যাকসিন পাঠাবে ভারত