আদৌ জার্সি বদল করবেন শিশির? জল্পনা ওড়াচ্ছেন ঘনিষ্ঠরা

কাঁথি – অবিভক্ত মেদিনীপুর-শিশির অধিকারী বঙ্গ রাজনীতিতে যেন সমার্থক হয়ে গিয়েছে। ছয় দশকেরও বেশি যার রাজনৈতিক জীবন , তাকে কখনও কেরিয়ারের এই শেষ সীমায় এসে এমন ”বেইমান” তকমা পেতে হবে ভাবেননি। অথচ বাস্তবে তাই ঘটেছে । যা তাকে আজ কুরে কুরে খাচ্ছে। তার অপরাধ দুই ছেলে তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছে। তাই একই ছাদের তলায় থেকে তিনিও কী তবে পা বাড়াচ্ছেন বিজেপির দিকে? সেই সন্দেহে জেরবার শিশির অধিকারী কিছুতেই মানতে পারছেন না এই অপমান।
কড়া বার্তা দিতে মঙ্গলবার দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকেও তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ শিশির অধিকারীর ঘনিষ্ঠরা বলছেন, কাঁথির সাংসদ এর পরেও দলবদল করবেন, এমন সম্ভাবনা নেই বললেই চলে৷
তৃণমূল থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, শুভেন্দু- সৌমেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে কেন মুখে কুলুপ এঁটেছেন এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। যদিও তাঁর মুখ থেকে একটি শব্দও এই বিষয়ে বের করতে পারেনি সংবাদমাধ্যম । কেননা তার ক্যারিশমা সর্বজন বিদিত।। তবু দুঃখ পেয়েছেন তিনি। ঘনিষ্ঠমহলে মহলে প্রকাশও করেছেন, কিন্তু প্রকাশ্যে ? নৈব নৈব চ।
তৃণমূল নেতারা যুক্তি দিচ্ছেন, শিশির অধিকারীকে কেন দলের জনসভায় দেখা যাচ্ছে না৷ অথচ কয়েকদিন আগে পর্যন্ত খোদ দলনেত্রী বার বার ফোন করে তাঁকে অতিমারির মধ্যে বাইরে বেরোতে নিষেধ করেছেন৷ শিশির অনুগামীরা বলছেন, পরিণত ছেলেরা যদি কোনও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে তাঁর দায় কি বাবার?
বয়স আশি ছুঁলেও এখনও নিয়মিত সাংসদ হিসেবে আমজনতার যতটা সম্ভব সমস্যার সুরাহা করার চেষ্টা করেন তিনি৷ ফলে দল চূড়ান্ত কোনও পদক্ষেপ নিলেও শিশির অধিকারী ফের জার্সি বদল করবেন, এমন সম্ভাবনা খারিজই করে দিচ্ছে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল৷
কিন্তু তার আর এক ছেলে দিব্যেন্দু অধিকারী কি পারবেন বাবার মতো ধৈর্য দেখাতে? কারণ, তিনিও যে শিশিরবাবুর মতোই দলে কোণঠাসা! এবং প্রতিনিয়ত সমালোচনার শিকার। তাই এখন বঙ্গ রাজনীতি তাকিয়ে পিতা-পুত্র কোন সিদ্ধান্ত নেন  সেই দিকে।