ভ্যাকসিন এলেও করোনা ভাইরাসকে ঠেকিয়ে রাখা দুষ্কর, আতঙ্কিত হু

প্রথম বছরের তুলনায় অর্থাৎ ২০২০ তুলনায় ২০২১ সাল হবে আরও ভয়ঙ্কর। এ কোনো জ্যোতিষীর ভবিষ্যৎবাণী নয়। হু-র স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মাইকেল রায়ান বলেছেন, প্রথম বছরেরকো কোভিড ১৯-এর দ্বিতীয় বছর আরও বেশি ভয়ানক হতে পারে। রায়ান বলেন, গতবছর ১১ মার্চ করোনাা সংক্রমণকে মহামারী পরিস্থিতি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। জন হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সারা বিশ্বে এখনও পর্যন্ত ৯২ কোটির বেশি মানুয করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃ্ত্যু হয়েছে প্রায় ২ কোটি মানুষের।

ইতিমধ্যেই পৃথিবীর প্রথম সারির উন্নত দেশগুলিতে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়েছে এবং হতে চলেছে। কিন্তু টিকাকরণ হলেই হার্ড ইমিউনিটি বা অনাক্রমতা তৈরি হবে না। সোমবার এমনি আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন বলেন, ভ্যাকসিন বাজারে এলেও এই বছর অনাক্রমতা তৈরি হবে না। ভ্যাকসিন পেয়ে গেছি ভেবে সবাই যদি করো না বিধি মানার ক্ষেত্রে ঢিলেমি দেখায় তাহলে ভয়ঙ্কর বিপদ। কারণ করেনা সংক্রমণ যখন গতবছরের থেকেও দ্রুত হারে ছড়াবে। এই এই বছরটা কঠোরভাবে করোনা বিধি মানতে হবে।

তিনি বলেন “২০২১ সালে জনসংখ্যাগত ভাবে অনাক্রমতা বা কঠোর অনাক্রমতা তৈরি হবে না। তাই করোনাবিধি মেনে চলতে হবে। শারীরিক দূরত্ব, হাত ধোওয়া, মাস্ক পরতে হবে।’’ দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফেরা নিয়ে সতর্ক হতে বলেছেন তিনি।

আমেরিকা, ব্রিটেন, সিঙ্গাপুর, জার্মানি, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে শুরু হয়েছে গণ টিকাকরণ। মূলত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, বায়োএনটেক-ফাইজার, মডার্নার তৈরি ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলি। কিন্তু তা সত্বেও আশ্বস্ত হতে পারছে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

Advt