এবার মোদি ঘনিষ্ঠ আদানিকে নিশানা করলেন বিজেপি সাংসদও

বিরোধীদের অভিযোগের সুর এবার শাসক দলের সাংসদের গলাতেও! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (prime minister narendra modi) ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অাদানি শিল্পগোষ্ঠীর (adani group) বিরুদ্ধে এবার তোপ দাগলেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী (subrahmaniam swami)।

এতদিন কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা অভিযোগ করেছে প্রধানমন্ত্রীর ‘বন্ধু’ গৌতম আদানির সংস্থাকে বিপুল ফায়দা পাইয়ে দিতেই তিন কৃষি আইন আনা হয়েছে। আর এবার খোদ বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীও আদানি গোষ্ঠীকে নিশানা করলেন। দাবি করলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কাছে আদানি গোষ্ঠীর বিপুল অনাদায়ী দেনা রয়েছে। এই প্রসঙ্গে গৌতম আদানিকে ‘সবথেকে বড় ট্রাপিজ শিল্পী’ বলে কটাক্ষ করতেও ছাড়লেন না বিজেপি নেতা। তাঁর দাবি, ব্যাঙ্কগুলির প্রায় ৪.৫ লক্ষ কোটি টাকার দেনা শোধ করেননি আদানি। অথচ তাঁর সম্পত্তি ২০১৬ থেকে প্রতি দু’বছর অন্তর দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে! প্রয়াত জয়ললিতা সহ দেশের একাধিক রাজনীতিকের দুর্নীতি নিয়ে মামলা করার জন্য বিখ্যাত স্বামী বলেন, এবার এই আদানিকে দায়বদ্ধ করার সময় এসে গিয়েছে। প্রয়োজনে একটা জনস্বার্থ মামলা অনস্বীকার্য হয়ে উঠেছে।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক ও নীতি আয়োগের আপত্তি অগ্রাহ্য করেই আদানি গোষ্ঠীর হাতে দেশের ছ’টি বিমানবন্দর তুলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। কেরলের তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দর আদানি গোষ্ঠীকে দেওয়া নিয়ে সে রাজ্যের বাম সরকার মামলাও করে। এ বার সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর কটাক্ষ, আদানি যেভাবে দেশের ছ’টি বিমানবন্দর পেয়েছেন, তেমন ভাবে যেসব ব্যাঙ্ক থেকে তিনি ঋণ নিয়েছেন, সেগুলিও হয়তো এক সময় কিনে নেবেন! এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আদানি গোষ্ঠী দাবি করেছে, তাদের সংস্থার মোট দীর্ঘমেয়াদি ঋণের মাত্র অর্ধেক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের থেকে নেওয়া। এর পরিমাণ ৩৪ হাজার কোটি টাকা এবং তা নিয়মিত শোধ করা হয়। যদিও এই যুক্তিতে আমল না দিয়ে সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ বিজেপি সাংসদ স্বামী বলেছেন, বহু অপ্রিয় প্রশ্ন থেকেই আদানি ছাড় পেয়ে যাচ্ছেন। কেউ তাঁকে সেইসব প্রশ্ন করছেন না। এটা পরবর্তীকালে সরকারের জন্য সমস্যা হয়ে উঠতে পারে।

আরও পড়ুন:রাজীবকে স্বাগত জানালেন দিলীপ, পাল্টা দিলেন সৌগত

Advt

Previous articleরাজীবকে স্বাগত জানালেন দিলীপ, পাল্টা দিলেন সৌগত
Next articleরোজভ্যালি কাণ্ড: জামিনের আবেদন খারিজ, ট্রানজিট রিমান্ডে শুভ্রাকে ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাচ্ছে CBI