মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছাকাছি কেউ নেই: বলছে সমীক্ষা

যতই বিরোধীরা কুৎসা, অপপ্রচারের চেষ্টা করুক এই মুহূর্তে বিধানসভা নির্বাচন হলেও তৃণমূলকে হারানো যাবে না; মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)ধারে-কাছে কেউ নেই। এবিপি আনন্দের করা সি ভোটারের জনমত সমীক্ষায় এই চিত্রই ধরা পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে বাংলায় এখনই ভোট হলে
তৃণমূল কংগ্রেস (Tmc)পেতে পারে ১৫৪ থেকে ১৬২টি আসন।
বিজেপির (Bjp) ৯৮ থেকে ১০৬ এর মধ্যে থাকতে পারে।
বাম ও কংগ্রেস (Left-Congress) জোট ২৬ থেকে ৩৪টি আসন পেতে পারে।
অন্যান্যরা পেতে পারে মাত্র ২ থেকে ৬টি আসন।

শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যদের তুলনায় অনেকটা এগিয়ে। তাঁর কাছাকাছি আসতে পারেনি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। অনেক পিছনে রয়েছেন সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakravorty), অধীর চৌধুরীরা (Adhir Chowduri)।
মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যোগ্য মনে করেছেন ৪৯ শতাংশ মানুষ। সেখানে দিলীপ ঘোষ ১৯ শতাংশের পছন্দের তালিকায়। সুজন চক্রবর্তীকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চান মাত্র ৪%। অধীর চৌধুরীকে আরো কম; ৩%। রাজনীতিবিদদের তুলনায় বরং এগিয়ে রয়েছেন ‘বাংলার দাদা’ মহারাজ। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Sourav Ganguly) ১৩% মানুষ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চাইছেন।

এই সমীক্ষা থেকেই স্পষ্ট তৃণমূলকে বিধানসভা নির্বাচনে হারানোর যে স্বপ্ন বিরোধীরা দেখছে তা দিবাস্বপ্ন হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আসন্ন নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা গেরুয়া শিবিরের নাম লিখিয়েছেন। আর তাতেই রাজ্যজুড়ে গেল-গেল রব পড়ে গিয়েছিল। বিভিন্ন জায়গায় জল্পনা তৈরি হয়েছিল তৃণমূল ভেঙে পড়েছে। যদিও শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্ব বারবার এ কথা বলেছেন যে কয়েকজন এদিক-ওদিক গেলেও দলের ভিত এতটাই মজবুত যে তা ভেঙে পড়ার কোনো আশঙ্কা নেই। তৃণমূল নেত্রীও সেই আশ্বাস দিয়েছেন। সেই কথা যে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে তারা বলেছেন তার প্রমাণ পাওয়া গেল এই জনমত সমীক্ষায়।

তবে সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০১৬-র তুলনায় এবার আসন কমছে। সেবার তারা পেয়েছিল ২১১টি আসন।

এদিকে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের ভবিষ্যদ্বাণী, বিধানসভা ভোটে বিজেপি ২০০-র বেশি আসন পাবে। পদ্ম শিবিরের হয়ে ঘনঘন রাজ্য সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। জেলায় জেলায় ঘুরে জনসভার পাশাপাশি তাঁরা দুপুরে স্থানীয় মানুষের বাড়ি খাচ্ছেন, গান শুনছেন। ফেব্রুয়ারিতে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্য সফরে আসতে পারেন বলে সূত্রের খবর। কিন্তু সি ভোটারের সমীক্ষার রিপোর্ট সামনে আসতে সমীকরণ পাল্টে যাচ্ছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

আরও পড়ুন-বিজেপির মুখে ঝামা: দুই “বেসুরো” সাংসদ আজ তৃণমূলের জনসভায়

Advt

Previous articleশতরান হাতছাড়া শুভমনের
Next articleহাজারি বস্তির সংস্কারে বরাদ্দ ৩ কোটি, নতুন নাম “মমতা কলোনি”