আসছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার, গ্রেফতারি পরোয়ানার কার্যকর করা নিয়ে চাপে প্রশাসন

তিন দিনের সফরে আজ, বুধবার রাজ্যে আসছেন মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক (Chief Election Officer) সুনীল আরোরা (Sunil Arora)। সঙ্গে ফুল বেঞ্চ। এই তিন দিন তাঁরা প্রশাসনের আধিকারিক নোডাল অফিসার এবং রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করবেন। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন মানেই সন্ত্রাস এবং তার প্রতিরোধে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অন্যতম বড় ইস্যু। আর কমিশন রাজ্যের মাটিতে পা রাখার আগে যা নিয়ে সবচেয়ে বড় মাথা ব্যাথা রাজ্য প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের।

সূত্রের খবর, রাজ্যজুড়ে ৫০ হাজার জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা (non-bailable warrants) কার্যকর করা এখনও বাকি।উপ-নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনের রাজ্য সফরের পর থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে ১০ হাজার জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করা গিয়েছে। যা কিন্তু কমিশনকে সন্তুষ্ট করার জন্য যথেষ্ট নয় বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

ইতিমধ্যেই সিআরপিএফের (CRPF) আইজি পিকে সিং, বিএসএফের (BSF) আইজি একে সিং এবং রাজ্য পুলিশের এডিজি (ADG) আইন-শৃঙ্খলার সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (CEO) আরিজ আফতাব (Ariz Aftab)। নির্বাচনে বাহিনীর পর্যাপ্ততা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে বলে খবর।

অন্যদিকে, করোনা আবহে এবার প্রায় ৩০ হাজারের বেশি বুথ বৃদ্ধি পেতে চলেছে রাজ্যজুড়ে। সেক্ষেত্রে গত লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় এবার ৩০ শতাংশ বাহিনী অতিরিক্ত প্রয়োজন পড়বে বলে জানা গিয়েছে। অতিরিক্ত বুথগুলি চিহ্নিতকরণের কাজ শেষ হয়েছে বলেও খবর। এর আগে উপ-নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনের (Sudip Jain) নির্দেশ মতো, আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলগুলি মেরামতির জন্য শীঘ্রই দরপত্র ডাকার কাজ শুরু হবে।

আরও পড়ুন-আজ থেকে রাজ্যে ৩দিন নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ, একনজরে কর্মসূচি

Advt

Previous articleহিম্মত দেখিয়ে শুভেন্দু বলুন না, ‘নন্দীগ্রামেই’ প্রার্থী হচ্ছি! অভিজিৎ ঘোষের কলম
Next article‘শত্রুতা’ ভুলে ৬ প্রতিবেশী দেশকে আজ করোনা টিকা উপহার ভারতের