দ্বিতীয় দফায় আজ রাজ্যে এল আরো ৭ লক্ষ কোভিশিল্ড

দ্বিতীয় দফায় আজ রাজ্যে এল  আরো ৭ লক্ষ কোভিশিল্ড। দুপুর পৌনে ৩টে নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছে যায় ভ্যাক্সিন বোঝাই কন্টেনার। তার আগে মৌলালি থেকে রাজ্য স্বাস্থ্য পরিবহণ দফতরের দুটি ইনস্যুলেটেড ভ্যান পুলিশি প্রহরা নিয়ে বিমানবন্দরে পৌঁছে গিয়েছিল। সেখান থেকে কোভিশিল্ড নিয়ে গাড়ি পৌঁছে  যায় বাগবাজারে স্বাস্থ্য দফতরের মেডিক্যাল স্টোরে। এরপর প্রয়োজনীয়তা খতিয়ে দেখে শুরু হবে বণ্টন প্রক্রিয়া। সূত্রের খবর, পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে দ্বিতীয় দফায় রাজ্যে আসছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ডের ৬ লক্ষ ৯৯ হাজার ডোজ। প্রথম দফায় ৬ লক্ষ ৮৯ হাজার ডোজ এসেছিল। করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে মানবতার অস্ত্র ভ্যাকসিন! নিয়ম অনুযায়ী প্রথম দফায় ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের।

কিন্তু, উদ্বেগের বিষয় হল দিন দিন রাজ্যে  কমছে করোনা ভ্যাকসিন গ্রহীতার সংখ্যা। শনিবার ভ্যাকসিন নিয়েছেন ১৫ হাজার ৭০৭ জন। রবিবার বন্ধ ছিল ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়া।  সোমবার করোনা ভ্যাকসিন নেন ১৪ হাজার ১১০ জন। মঙ্গলবার সংখ্যাটা আরও কমে হয় ১৩ হাজার ৬৯৩। তাঁদের মধ্যে ১১ জনের পার্শ্বপ্রতিতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ। । একজনকে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি স্বাস্থ্যকর্মীর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। এদিকে, ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে একাধিক নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর। বলা হয়েছে, কোউইন অ্যাপে নথিভুক্ত নন, এমন ব্যক্তিকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না। টিকাকরণের আগের দিন বেলা ১২টার মধ্যে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। নাম নথিভুক্ত করা হবে ২০০ জনের। দৈনিক ১০০ জনেরই টিকাকরণ হবে। সফটওয়্যারের মাধ্যমে ঠিক হবে ১০০ জনের নাম। নির্দিষ্ট দিনে কেউ যদি টিকা না নিতে পারেন, সেক্ষেত্রে পরবর্তী সুযোগ না আসা অবধি তাঁকে অপেক্ষা করতে হবে। এই প্রেক্ষাপটেই মঙ্গলবার, কলকাতা-সহ রাজ্যের ২০৭টি কেন্দ্রে ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া চলেছে। হাজরার চিত্তরঞ্জন সেবা সদনে এদিন ১০০ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীকে কোভিশিল্ড দেওয়া হয়। সামগ্রিক প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে হাজির হন ইউনিসেফের প্রতিনিধিরা। এদিনই রাজ্যে রাশিয়ান ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি-এর তৃতীয় পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হয়েছে। পিয়ারলেস হাসপাতালে স্পুটনিক ভি-এর ট্রায়াল শুরু হলেও, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে রাশিয়ান ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল এখনও লাল ফিতের ফাঁসে আটকে।সূত্রের খবর, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের এথিক্স কমিটি ট্রায়ালের জন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র দিলেও, স্বাস্থ্য ভবনের সবুজ সংকেত মেলেনি। এদিকে, স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, প্রথম দু’দফায় টিকাকরণের পর ২৮ জনের শরীরে মৃদু উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৩ জন হাসপাতালে ভর্তি। ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ, ফালাকাটা মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল এবং এনআরএস-এ তাঁরা চিকিৎসাধীন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, প্রত্যেকেই ভাল আছেন। বাকি ২৫ জনকে বাড়িতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

Advt

Previous articleধূপগুড়ির দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর, আর্থিক সহায়তার ঘোষণা
Next articleউচ্চ মাধ্যমিকের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা নিয়ে জরুরী বিজ্ঞপ্তি সংসদের