‘এত রাজনৈতিক হিংসা কেন কলকাতায়?’ কমিশনের কড়া প্রশ্নের মুখে অনুজ শর্মা

দিনক্ষণ এখনো ঘোষণা না করা হলেও বঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা ইতিমধ্যেই বেজে গিয়েছে। কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। তবে বঙ্গ রাজনীতির অতীতের ইতিহাস বলে, বাংলায় নির্বাচন মানেই বিপুল রক্তক্ষরণ। অবশ্য এবার সে ধারায় বদল আনতে তৎপর নির্বাচন কমিশন। রাজ্যে হিংসামুক্ত বিধানসভা ভোট করাতে একেবারে বদ্ধপরিকর তারা। সেই লক্ষ্যেই শুক্রবার খাস কলকাতায় আইন শৃঙ্খলা ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনের(election commission) প্রশ্নের মুখে পড়লেন পুলিশ কমিশনার(police commissioner) অনুজ শর্মা(Anuj Sharma)।

রাজ্যে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে কমিশন। চলছে আমলা ও পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে একের পর এক বৈঠক। শুক্রবার তেমনই এক বৈঠকে কলকাতায় রাজনৈতিক হিংসা বৃদ্ধি পাওয়া নিয়ে কমিশনের করা প্রশ্নের মুখে পড়তে হলো অনুজ শর্মাকে। তাকে প্রশ্ন করা হয় পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী হওয়া সত্বেও কলকাতাতে কেন এত রাজনৈতিক হিংসা? খাস কলকাতায় যদি এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তে কী অবস্থা হবে? পাশাপাশি প্রশ্ন করা হয় জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা থাকা সত্ত্বেও বহু অভিযুক্তকে কেন গ্রেফতার করা হয়নি? কেন কলকাতা অশান্ত হয়ে গেছে? একের পর এক প্রশ্নে ধরাশায়ী করা হয় শহরের পুলিশ কমিশনারকে। যদিও একাধিক অপরাধীকে গ্রেফতার করতে না পারার কারণ হিসেবে করোনা পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন অনুজ শর্মা। এরপর অবশ্য কড়া ভাষায় নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেয় অবিলম্বে কলকাতায় শান্তি ফেরাতে হবে মানুষ যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে যেতে পারেন সেই পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

আরও পড়ুন:দল ঐক্যবদ্ধ, রাজীবের মন্ত্রিত্ব ত্যাগ নিয়ে বিচলিত নন তৃণমূল নেতারা

এদিকে নির্বাচন কমিশনের তরফ এ জানা যাচ্ছে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলার হাল ফেরাতে সমস্ত রকম ভাবে চেষ্টা করবে কমিশন। প্রয়োজনে কঠোর এবং সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নিতেও কোনওরকম দ্বিধা করা হবে না। এক নির্বাচনী আধিকারিকের কথায়, ‘পূর্বে রাজ্যে যে হিংসার ছবি দেখা গিয়েছে তার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে এবার প্রথম থেকেই শক্ত হাতে মাঠে নামছে কমিশন।’ সে ছবি অবশ্য দেখা গিয়েছে ইতিমধ্যেই সম্প্রতি রাজ্যে এসে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের কড়া বার্তা দিয়েছিলেন উপ নির্বাচন কমিশনার। অবিলম্বে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করতে বলার পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলার হাল ফেরাতে যথাসম্ভব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন সুদীপ জৈন।

Advt

Previous articleচার দিন বন্ধ থাকবে দুর্গাপুর সেতু
Next articleদেশভক্তির সার্টিফিকেট দেওয়া ব্যক্তিদের মুখোশ খুলে পড়েছে: তোপ সোনিয়ার