দেশভক্তির সার্টিফিকেট দেওয়া ব্যক্তিদের মুখোশ খুলে পড়েছে: তোপ সোনিয়ার

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হয়ে গিয়েছে রিপাবলিক টিভি সঞ্চালক অর্ণব গোস্বামীর(Arnab Goswami) হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। যেখানে পুলওয়ামা হামলা বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের পাশাপাশি টিআরপি ইস্যুতেও কথোপকথন করেছেন অর্ণব। যে কথোপকথন প্রশ্ন তুলে দিয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে। সেই ইস্যুকে হাতিয়ার করেই এবার তো দাগলেন কংগ্রেস অধ্যক্ষ সোনিয়া গান্ধী(Sonia Gandhi)। শুক্রবার তিনি জানালেন অন্যের দেশভক্তি ও জাতীয়তাবাদের সার্টিফিকেট দেওয়া ব্যক্তিদের মুখোশ এবার খুলে পড়েছে। পাশাপাশি কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির(CWC) বৈঠকে এদিন সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনার নামে অসংবেদনশীলতা এবং অহংকার দেখাচ্ছে কেন্দ্র।

কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক থেকে এদিন কংগ্রেস অধ্যক্ষ সোনিয়া গান্ধী বলেন, ‘আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সংসদ অধিবেশন শুরু হতে চলেছে। এটা বাজেট অধিবেশন কিন্তু জনকল্যাণের জন্য এমন অনেক বিষয় রয়েছে যা নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন। সরকার কি এ বিষয়ে একমত? এটাই এখন দেখার বিষয়।’ কৃষক আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে তিনি আরো বলেন, ‘কৃষকদের আন্দোলন জারি রয়েছে অথচ সরকার আলোচনার নামে অদ্ভুতভাবে অসংবেদনশীলতা এবং অহংকার দেখাচ্ছে।

আরও পড়ুন:জাভেদ আখতারের সঙ্গে বিরোধের জের, কঙ্গনাকে সমন মুম্বই পুলিশের

পাশাপাশি সোনিয়া গান্ধী আরও বলেন, স্পষ্ট যে তাড়াহুড়ো করে সংসদে আইন পাস করানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করারও কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি। আমরা এই আইন সম্পূর্ণরূপে খারিজ করছি। কারণ এই আইন খাদ্য সুরক্ষার মূলভিত্তি কে নষ্ট করে দেবে।’ এরপরই নাম না করে অর্ণবের সঙ্গে বার্কের প্রাক্তন সিইও পার্থ দাশগুপ্তর ফাঁস হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট নিয়েও কেন্দ্রের মৌনতাকে কটাক্ষ করে সোনিয়া গান্ধী বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে অস্বস্তিকর একাধিক খবর প্রকাশ এসেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে জাতীয় সুরক্ষার সঙ্গে কিভাবে আপস করা হয়েছে। যারা অন্যকে দেশ ভক্তি ও জাতীয়তাবাদের সার্টিফিকেট দেয় তাদের মুখোশ এবার খুলে পড়েছে।’

Advt