শোভন-সহ দলত্যাগীদের চড়া সুরে আক্রমণ কুণালের

তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে যাঁদের রাজনীতির আঙিনায় পদার্পণ এখন এজেন্সি থেকে বাঁচতে তাঁরা যাচ্ছেন বিজেপিতে। এইসব ‘গদ্দার’দের বিরুদ্ধে রায়দিঘি থেকে তীব্র আক্রমণ শাণালেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। শনিবার, সভায় প্রথমেই তিনি বলেন, “দক্ষিণ 24 পরগনার মানুষকে ভূমিপুত্রের নমস্কার”। এরপরেই একসময়ের দক্ষিণ 24 পরগনা দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের (Shobhan Chatterjee) বিরুদ্ধে সরব হন কুণাল। তিনি বলেন, যাঁর জিভের জড়তা ঠিক করে কাটেনি, তিনি এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। কুণাল কটাক্ষ করে বলেন, শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Baishakhi Bandopadhyay) পড়াচ্ছেন, আর তিনি সেই কথা মঞ্চে গিয়ে উগরে দিচ্ছেন।

এদিনের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও কটাক্ষ করেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, সপরিবারে সবরকম পদ ও ক্ষমতা ভোগ করার পর এখন সিবিআইয়ের ভয়ে গেরুয়া শিবিরের নাম লিখিয়েছেন অধিকারী পরিবারের মেজো ছেলে। শুভেন্দু অধিকারীর নাম উচ্চারণ হতেই উপস্থিত জনগণের পক্ষ থেকে আওয়াজ ওঠে ‘কুলাঙ্গার’। এদিন সভা থেকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পথে থাকা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajiv Banerjee) বিরুদ্ধেও তীব্র কটাক্ষ করেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, এতদিন ক্ষমতা ভোগ করা সময় মানুষের কথা মনে পড়েনি রাজীবের। ভোটের আগেই সব বিক্ষোভ জানানোর কথা মনে হয়েছে।

কুণাল বলেন, দলের মধ্যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকতেই পারে। কিন্তু সব ক্ষমতা ভোগ করার পর রাতারাতি যাঁরা স্বার্থের কারণে মায়ের পিঠে ছুরি মারেন তাঁদেরই ‘গদ্দার’ বলা হয়। দলবদলুদের উদ্দেশ্যে তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, তাঁরা পিছন থেকে তৃণমূল নেত্রীর পিঠে ছুরি মেরেছেন।

কুণাল মনে করিয়ে দেন সামনে কঠিন লড়াই। এখন ব্যক্তিগত মান-অভিমান ভুলে সবাইকে একজোট হয়ে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। এদিনের সভায় থেকে বাম-কংগ্রেস জোটের বিরুদ্ধে সুর চড়ান কুণাল ঘোষ।

এদিন রায়দিঘিতে (Raydighi) তৃণমূলের জনসভা ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ 24 পরগনার তৃণমূলের জেলা সভাপতি ও সাংসদ (Mp) শুভাশিস চক্রবর্তী (Shubhashish Chakroborti), সাংসদ চৌধুরী মোহন জুটয়া (Choudury Mahon Jatua), জেলার বিধায়করা, তৃণমূল নেতা সুদীপ রাহা। সভার ভিড় দেখে তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, ব্রিগেডে এই সভা হলে তা মাঠ ছাড়িয়ে আরও বহুদূর বিস্তৃত হত।

আরও পড়ুন:একই চার্টার্ড ফ্লাইটে দিল্লি চললেন রুদ্রনীল ঘোষও

Advt

Previous articleএকই চার্টার্ড ফ্লাইটে দিল্লি চললেন রুদ্রনীল ঘোষও
Next articleমালদা জেলা নেতাদের একাংশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ কালিয়াচক তৃণমূল নেতৃত্ব