মমতাকে তোপ দেগে বাংলায় ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারের ডাক দিলেন মোদি

হলদিয়া সরকারি অনুষ্ঠানের আগে বিজেপির(BJP) নির্ভেজাল রাজনৈতিক মঞ্চে পা রেখেছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। দিলীপ-কৈলাস-মুকুল-শুভেন্দুদের উপস্থিতিতে সেই মঞ্চ থেকেই চাঁচাছোলা ভাষায় তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ শানালেন বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদি। বঙ্গবাসীর কাছে তিনি আবেদন জানালেন আগামী নির্বাচনে বাংলায় ডবল ইঞ্জিন সরকারকে সুযোগ দেওয়ার। এবং তৃণমূল সরকারকে(TMC government) উৎখাত করার।

রবিবার হলদিয়াতে বিজেপির জনসভায় শুরুতেই মেদিনীপুরের মাটিকে প্রণাম জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘এই মাটি ক্ষুদিরাম বসু, বিদ্যাসাগরের মাটি। ভারতসহ বিশ্বকে দিশা দেখানো এই মাটিকে আমি প্রণাম জানাই।’ পাশাপাশি বলেন, ‘আজ বাংলার জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের সূচনা করবো আমি।’ বাংলা অনুন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে মোদির দাবি, ‘স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে পশ্চিমবঙ্গ দেশের মধ্যে সর্বাগ্রে ছিল। গোটা দেশকে দিশা দেখাত। অথচ আজ ক্রমাগত পিছিয়ে পড়েছে বাকি রাজ্যগুলিতেকে।’ কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘শুরুতে দুর্নীতিগ্রস্ত কংগ্রেস তারপর বামেদের সরকারে দুর্নীতির সঙ্গে যোগ হয়েছে অত্যাচার। এবং যে তৃণমূল এই সব কিছুকে সরিয়ে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিল। সরকারে বসার পর তারাও সেই কাজ করে চলেছে। বাংলায় চলছে দুর্নীতি ও অত্যাচার। বামেদের প্রত্যাবর্তন ঘটেছে বাংলায় তৃণমূল সরকারের মাধ্যমে।’

এদিনের জনসভা থেকে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলার পাশাপাশি সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘দিদিকে উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন করলে রেগে যান। ভারত মাতার স্লোগান শুনলেও রেগে যান মমতা। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্র থেকে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে, অথচ দিদি একটা শব্দও উচ্চারণ করেননি তাদের বিরুদ্ধে। দিদি চুপ কেন? তবে দেশ সব ধরণের ষড়যন্ত্রের কড়া জবাব দেবে।’ পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, ‘করোনার সময় গোটা বিশ্ব যখন ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে। ভারত সরকার মানুষের সাহায্যার্থে একের পর এক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তখনো দুর্নীতির রাস্তা খুঁজে বেড়িয়েছে এই সরকার। আমফানের সময় কেন্দ্র সরকার যে টাকা পাঠিয়েছিল সেই টাকা এরা কি করেছিল বাংলার মানুষরা জানে। করোনা সময় গরিবের জন্য যে চাল পাঠানো হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। সেই চালও মানুষের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছে দেয়া হয়নি। সৌভাগ্যক্রমে সরকার জন ধন যোজনা খুলেছিল সেখানে টাকা পাঠানো হয়েছে। বিনামূল্যে গ্যাস দেওয়া হয়েছে উজ্জ্বলা যোজনায়।’

আরও পড়ুন:বিশ্বমানের থার্মাল টিএমটি ইস্পাত প্রস্তুতকারী সংস্থা সুল

এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কৃষক সম্মান নিধি ও আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প বাংলায় লাগুক না হওয়ার জন্য তৃণমূল সরকারকে তোপ দাগেন তিনি। পাশাপাশি জানান, বাংলায় বিজেপি সরকার গঠিত হলে কৃষক সম্মান নিধি চালু হবে প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে। শুধু তাই নয় এই প্রকল্পের টাকা কৃষকরা তখন পাবেন এবং তৃণমূল সরকারের সময়ে যে টাকা কৃষকরা পাননি সেটাও তাদের দেওয়া হবে। একইসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন দিয়ে আনতে বাংলায় ডবল ইঞ্জিন সরকারের ডাক দিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলার মানুষ উন্নতিতে সবসময় সচেষ্ট কেন্দ্র। হাইওয়ে, ফ্লাইওভার, রেল, বিমান, পোর্ট, ইন্টারনেট সুবিধা দিতে সচেষ্ট কেন্দ্র। পিএম আবাস যোজনায় বহু মানুষ বাড়ি তৈরি করতে পেরেছে। বাংলার উন্নয়নের গতি আনতে ডবল ইঞ্জিন সরকার প্রয়োজন। যখন আসল পরিবর্তন আসবে, তখন দুর্নীতিমুক্ত বাংলা হবে।’

Advt

Previous articleবিশ্বমানের থার্মাল টিএমটি ইস্পাত প্রস্তুতকারী সংস্থা সুল
Next articleপ্রয়াত অস্কারজয়ী ‘‌দ্য সাউন্ড অফ মিউজিক’‌–এর ক্যাপ্টেন ভন ক্রিস্টোফার