‘পুলিশ কমিশনারকে টাকা দিয়ে আমাকে হারিয়েছিল অর্জুন’, বিতর্কিত দাবি মদনের

বেফাঁস মন্তব্য রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রের (MadanMitra)৷ রাজ্য সরকার তথা পুলিশ প্রশাসনকেই চরম অস্বস্তিতে ফেলেছে মদনের এই মন্তব্য ৷

প্রবীণ এই তৃণমূল নেতার অভিযোগ, ভাটপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের (Bhatpara) উপ- নির্বাচনের সময় বারাকপুর কমিশনারেটের তৎকালীন পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে যোগসাজশ করে অর্জুন সিং (Arjun Singh) তাঁকে হারিয়েছিলেন৷ পুলিশ বেইমানি করেছিলো বলেই ২০১৯ সালের সালে বিধানসভা উপ-নির্বাচনে তিনি হেরেছেন।

এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের কটাক্ষ, “রাজ্যের শাসকদলের নেতারাই বলতে পারবেন, কীভাবে পুলিশকে টাকা দিয়ে ভোটে জেতা যায়”।একুশের বিধানসভা ভোটের ( WB Assembly Elections 2021) মুখে মদন মিত্র ও অর্জুন সিংয়ের কথার লড়াই এই মুহুর্তে চরমে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেন ভাটপাড়ার তত্‍কালীন তৃণমূল বিধায়ক অর্জুন সিং এবং বারাকপুর থেকে জিতে সাংসদ হন।
এর পর অর্জুনের ছেড়ে যাওয়া ভাটপাড়া বিধানসভার উপনির্বাচনে অর্জুন সিংয়ের পুত্র পবন সিংকে প্রার্থী করে বিজেপি। ওই ভোটে তৃণমূল প্রার্থী করে মদন মিত্রকে। ওই উপনির্বাচনের দিন রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল ভাটপাড়া৷ শেষপর্যন্ত ওই ভোটে অর্জুন-পুত্রের কাছে হেরে যান তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতা।

এতদিন পর এবার সেই নির্বাচনে হারের কারন খুঁজে পেলেন মদন মিত্র৷ অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে বারাকপুরের তত্‍কালীন পুলিশ কমিশনারকে টাকা দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ তুললেন তিনি৷ প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী বলেছেন, “উপ-নির্বাচনে আমাকে হারানোর জন্য বারাকপুরের তৎকালীন পুলিশ কমিশনার অর্জুন সিংয়ের কাছে টাকা নিয়েছিলেন৷ ”

এই অভিযোগ তোলার পর স্বাভাবিকভাবেই অর্জুন সিং পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, ” তাই যদি হয়, তাহলে তখনই কেন তথ্যপ্রমান দিয়ে মদন অভিযোগ জানায়নি ? কেন তখনই বহিষ্কার করা হল না বারাকপুরের তত্‍কালীন পুলিশ কমিশনারকে?”
অর্জুন বলেন, “পুলিশ কীভাবে জেতায়, কীভাবে
হারায়, তা মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় বলতে পারবেন”। তৎকালীন সিপি সুনীল চৌধুরি যদি এমন করেই থাকেন, তবে তাঁকে বহিষ্কার করা উচিৎ ছিলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের। কিন্তু তা তো হয়নি৷ বরং মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় তাঁকে প্রাইজ পোস্টিং দিয়েছে”।
এদিকে, মদন মিত্র জানান, অর্জুনের বিপক্ষে লড়তে তিনি এখনও তৈরি৷ বলেছেন, “এমন রাজনৈতিক বোমা মারব যে আঁচ নেওয়ার মতো হিম্মত অর্জুনের পরিবারের থাকবে না”। একথারও উত্তর দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ৷ তিনি বলেছেন, “আমার সঙ্গে কী লড়বে, ওতো আমার ছেলেকেই হারাতে পারেনি৷ আসলে মদন পাগল হয়ে গিয়েছে৷ ওর হুঁশ নেই কী বলছে৷ লিভার, কিডনি, মাথা, সব খারাপ হয়ে গিয়েছে। ৭৫ বছর বয়স হয়েছে, এই বয়সে কি খেলবে, পিংপং?”

আরও পড়ুন:‘আন্দোলন বন্ধ করুন’, কৃষকদের কাছে আলোচনায় সমস্যা মেটানোর আর্জি প্রধানমন্ত্রীর

এ ছাড়াও মদন মিত্র বলেছেন, “নাড্ডাদের এনে কিছু হবে না। যত নাড্ডা আসবে, বিজেপির জন্য ততই গাড্ডা তৈরি হয়ে যাবে। আর যদি মোদি এবং অমিত শাহকে ডেলি প্যাসেঞ্জার না করাতে পারি, তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব”৷

দুপক্ষের তরজায় এখন ফুটছে বারাকপুরের রাজনীতি।

Advt

Previous article‘আন্দোলন বন্ধ করুন’, কৃষকদের কাছে আলোচনায় সমস্যা মেটানোর আর্জি প্রধানমন্ত্রীর
Next articleভোটে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশকর্মীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে কমিশন