দলীয় সভায় হেনস্থা বিজেপির যুব মোর্চার নেত্রীকে! সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড়

দলীয় সভায় হেনস্থার অভিযোগ বিজেপির (Bjp) যুব মোর্চার সম্পাদক তথা মডেল পামেলা গোস্বামীর (Pamela Goswami)। আর সে কথা অন্য কেউ নয়, নিজেই ফেসবুক (Facebook) ওয়ালে লিখে জানিয়েছেন পামেলা। ঘটনায় তিনি যে কতটা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত সেই পোস্টের ছত্রে ছত্রে তা প্রমাণিত। শুধু তাই নয় পামেলার অভিযোগ, ভারতী ঘোষের (Bharati Ghosh) মতো বিজেপি নেত্রী উপস্থিত থাকলেও তাঁকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি কেউ।

ঘটনা সম্পর্কে কী লিখেছেন পামেলা?

“আজ আমার সাথে একটি ঘটনা ঘটেছে যেটা আপনাদের সবার সাথে আমি ভাগ করে নিতে চাই:
আজকে আমাদের রাষ্ট্রীয় সভাপতি শ্রী জেপি নাড্ডাজির (Jp Nadda) ঝাড়গ্রাম জেলায় লালগড় ময়দানের সভায় আমাকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। দলের নির্দেশমতোই আমি আজ সেখানে উপস্থিত ছিলাম। ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার সম্পাদক হওয়ার দরুন আমাকে স্টেজে উঠতে বলা হয়। পাঁচজন স্বেচ্ছাসেবক এসে আমাকে মঞ্চে উঠতে অনুরোধ করে। যখন আমি মঞ্চে উঠছিলাম ঠিক সেই মুহুর্তে অরিন্দম চক্রবর্তী (Arindam Chakraborty) নামক এক ব্যক্তি আমার সাথে অসভ্যতামি করেন। আমাকে তিনি বিভিন্ন কুরুচিকর অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং আমাকে চড় মারার জন্য উদ্যত হয়ে আমার দিকে তেড়ে আসেন।এই পুরো ঘটনায় আমি বাকরুদ্ধ হয়ে যাই,আমার চোখের জল চলে আসে। প্রথমে সেই ব্যক্তি আমাকে পরিচয় দেয় যে তিনি নাকি এই রাজ্যের মিডিয়া ইনচার্জ। পরে জানতে পারি যে তিনি হলেন আমাদের রাজ্যসভা সাংসদ স্বপন দাসগুপ্তের (Swapan Dasgupta) PA। পুরো ঘটনাতে আমি হকচকিয়ে যাই, তার চাইতেও বেশি আমি মানসিকভাবে ভেঙে পরি। আমার জীবনে এত অপমানজনক মুহূর্ত এর আগে কখনও আসেনি। এই পুরো ঘটনাটা যখন ঘটে তখন মঞ্চের উপরেই আমাদের নেত্রী ভারতী ঘোষ সশরীরে উপস্থিত ছিলেন। এতকিছু দেখার পরেও একজন মহিলা হয়েও তিনি আমাকে সাহায্য করতে বা আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেননি। এটা দেখে আমি আরো মর্মাহত হয়েছি। আমি একজন রাজ্য নেতৃত্বের সদস্যা হওয়া সত্ত্বেও যদি এরকম আক্রমণের শিকার হতে পারি তাহলে আমাদের রাজ্যে আমাদের মহিলা কার্যকর্তাদের সুরক্ষা ও সম্মান নিয়ে আমি খুব চিন্তিত বোধ করছি।”

এই পোস্টের নীচে তিনি নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ অমিতাভ চক্রবর্তী, মুকুল রায়, স্বপন দাশগুপ্ত-সহ বিজেপির নেতা নেত্রী এবং সংবাদমাধ্যমকে ট্যাগ করেছেন।

শুধু নিজের অপমান নয় পোস্টে পামেলা বিজেপির মহিলা কার্যকর্তাদের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

পামেলা গোস্বামীর এই পোস্টের নীচে অসংখ্য মানুষ মন্তব্য করেছেন। তার মধ্যে বেশিরভাগই পামেলাকে সমর্থন করে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। কেউ কেউ বলেছেন, যদি দলের মধ্যে একজন মহিলার এই অবস্থা হয়, তাহলে বোঝাই যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টিতে মহিলাদের স্থান কোথায়! অনেকে আবার দলের মধ্যে বিষয়টি না জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা নিয়ে তাঁকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েনি। তবে তাঁদের পাল্টা জবাব দিয়েছেন পামেলার সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) বন্ধুরা। তাঁরা বলেছেন বিজেপি নেতা-নেত্রীদের উপস্থিতিতেই যখন এই ঘটনা ঘটেছে তখন আলাদা করে তাদের বলার কি প্রয়োজন আছে? যদিও এই ঘটনা নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি বিজেপি নেতৃত্ব। তবে দলের নেত্রীর সঙ্গে এই ধরনের আচরণ বাংলা সংস্কৃতি নয় বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।

আরও পড়ুন- সপ্তাহে ৪ দিন কাজ, ৩ দিন ছুটি: নতুন শ্রমবিধিতে প্রস্তাব

 

Advt

Previous articleসপ্তাহে ৪ দিন কাজ, ৩ দিন ছুটি: নতুন শ্রমবিধিতে প্রস্তাব
Next articleধাক্কা খেল মিম, মালদায় ওয়েইসির দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ একাধিক নেতৃত্বের