হাঁকডাকই সার, বহুল প্রচারিত বাম ছাত্র-যুবদের ‘নবান্ন চলো’ অভিযান নবান্ন তো দূর-অস্ত, ডোরিনা ক্রসিংই ক্রস করতে পারল না বৃহস্পতিবার দুপুরে। নিট রেজাল্ট দুপুর একটায় যে মিছিল কলেজ স্ট্রিট থেকে শুরু হয়েছিল, দুপুর তিনটেতে তার কার্যত পরিসমাপ্তি। অনেকটা ফানুসের মতো, আশা জাগিয়ে উড়লেও শেষে চুপসে গেল আন্দোলন।

এদিনের দেখার বিষয় ছিল, কোনওরকমভাবেই মিছিল যাতে বাড়াবাড়ি পরিস্থতি তৈরি করতে না পারে। আর সেই কারণে জানবাজারের কাছে মিছিল আসতেই শুরু হয় জলকামান। লোহার গার্ড রেল তো ছিলই। তা ভাঙা বা ডিঙোনো সম্ভব হয়নি। জল কামানে প্রাথমিক ছত্রভঙ্গ হওয়ার পরেই শুরু হয় র্যাফ ও পুলিশের লাঠি চার্জ। ছাত্র-যুবদের প্রতিরোধের চাইতে পুলিশি আক্রমণের মাত্রা বেশি ছিল। লাঠির ঘায়ে কম বেশি আহত হন প্রায় ৮০-৯০জন। এরপর পুলিশি তৎপরতা দেখা যায় অ্যাম্বুল্যান্স আনার জন্য। ছাত্র-যুব নেতৃত্বও ডাকেন অ্যাম্বুল্যান্স। বহু মহিলা কর্মী আহত হন, কয়েকজন রক্তাক্তও হন। তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

আন্দোলনকারীরা এরপর উলটো মুখে এসএন ব্যানার্জি থেকে যান মৌলালীর মোড়ে। পুলিশি অমানবিকতার অভিযোগে তারা অবরোধ শুরু করে বিকেল সোয়া তিনটে থেকে। কিন্তু তৎপর পুলিশ মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আতঙ্কে আশপাশের দোকানপাট বন্ধ করে দেন দোকান মালিকরা। এনআরএস হাসপাতালের সামনে আর একটি দল অবরোধ করলে পাল্টা পুলিশি অভিযানে বিকেল ৪টের মধ্যে প্রায় স্বাভাবিক হতে শুরু করে এলাকা।

আরও পড়ুন:রাজবংশীদের মন জয় করতে পঞ্চানন বর্মার মূর্তি গড়ার ঘোষণা অমিতের
বিকেলে বাম নেতারা পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ তুললেও মাত্র হাজার পাঁচেকের জমায়েত বাম ছাত্র-যুবদের সাংগঠনিক দৈন্যতা সামনে এনে দিল বৃহস্পতিবারের বিকেল।
