জোর করে বনধ নয়, বামেদের হরতাল রুখতে কড়া মনোভাব দেখাবে প্রশাসন

বাম ছাত্র-যুবদের নবান্ন অভিযানকে ঘিরে আজ, বৃহস্পতিবার ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে ধর্মতলা চত্বরে। রাজ্যে নয়া শিল্প স্থাপন, বেকারত্ব বৃদ্ধি-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে এদিন নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বামেদের ১০টি ছাত্র ও যুব সংগঠন। সমর্থন করে অভিযানে যোগ দিয়েছিল কংগ্রেসের ছাত্র-যুব সংগঠনও। কলেজ স্ট্রিট থেকে মৌলালি হয়ে এসএন ব্যানার্জি রোড ধরে একটি মিছিল পৌঁছয় ডোরিনা ক্রসিংয়ে। নবান্ন অভিযানে যাওয়ার কথা থাকলেও মিছিল সেখানেই আটকে দেয় পুলিশ। বাধা দিতেই পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়।

অভিযোগ, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশের দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তারা লাঠি চালায়। জলকামান প্রয়োগ করে। অন্যদিকে, আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিনা প্ররোচনায় আন্দোলনকারীদের তাড়া করে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। সব মিলিয়ে এদিন বিকেলে এসএন ব্যানার্জি রোড রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। পুলিশ-আন্দোলনকারী খণ্ডযুদ্ধে দু’পক্ষেরই একাধিক জন গুরুতর আহত হন।

আর বৃহস্পতিবার পুলিশের ভূমিকার প্রতিবাদ জানিয়ে আগামীকাল শুক্রবার ১২ ঘণ্টার হরতালের ডাক দিয়েছে বামেরা। খুব স্বাভাবিকভাবেই তাকে সমর্থন করেছে কংগ্রেস।সকলকে এই হরতাল সমর্থনের আহ্বান জানান সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী, বিমান বসু, রবীন দেব। সেই হরতাল সমর্থন করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর তরফেও বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়েছে।

তবে হরতালে রুখতে তৈরি পুলিশ-প্রশাসন। সরকারের স্পষ্ট বার্তা, জোর করে অবরোধ, দোকানপাট বন্ধ বা গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) শুভঙ্কর সিনহা রায় জানিয়েছেন, হরতালের নাম করে কোনও গুন্ডামি বরদাস্ত করা হবে না। শহরে সাড়ে তিন হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। শুধু কলকাতা পুলিশ নয়, অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে কড়া মনোভাব নেবে রাজ্য পুলিশও। জোর করে বনধ করার চেষ্টা করলে প্রশাসনের তরফে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সমস্ত যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে। সাধারণ মানুষের যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয়, তার জন্য অতিরিক্ত সরকারি বাস রাস্তায় নামবে।

একইসঙ্গে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সমস্ত বাস-ট্যাক্সি-অটো সংগঠনগুলিকে রাস্তায় গাড়ি নামানোর কথা বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন- সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুল তথ্য, হিংসা ছড়ানো হলে ব্যবস্থা: কেন্দ্র

Advt

Previous articleসোশ্যাল মিডিয়ায় ভুল তথ্য, হিংসা ছড়ানো হলে ব্যবস্থা: কেন্দ্র
Next articleআলাদা কোচবিহারের দাবির কথা শুনেছেন অমিত শাহ, দাবি গ্রেটার নেতা-কর্মীদের