‘শাহ নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে লড়ুন, জিতলে মন্ত্রী করবো’ ,চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন মমতা

“নন্দীগ্রামে (Nandigram) আমার বিরুদ্ধে লড়ুন উনি। ভোটে জিতলে ওনাকে মন্ত্রী করে দেবো।”

বৃহস্পতিবার কলকাতায় একটি বেসরকারি সংবাদগোষ্ঠীর আলোচনাসভায় এভাবেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। একই সঙ্গে ‘আশ্বাস’ দিয়েছেন, “ভোটে জিতলে অমিত শাহকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করে দেব”৷ এদিনের আলোচনাসভায় মমতা জোরালো সুরে দাবি করেছেন, বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে ২২১টির বেশি আসন পাবে তৃণমূল।

ওদিকে ওই একই আলোচনাসভাতে কয়েক ঘন্টা পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছুড়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জের জবাব দিয়েছেন অমিত শাহ৷ তিনি বলেছেন, “একজন বাঙালিই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হবেন৷ গুজরাতিরা বাংলার ভোটে লড়বেন না৷ আমি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি৷ আমার ভোটে লড়ার প্রয়োজনই নেই”৷

আরও পড়ুন:বামেদের ধর্ঘটের খবর জানেই না ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল, শহরে যান চলাচল স্বাভাবিক

প্রসঙ্গত, তৃণমূলনেত্রী পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম থেকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন, এমন ঘোষণার পরই রাজ্য রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। ওই ঘোষণার দিনই বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary) কলকাতায় একটি জনসভায় বলেন, “নন্দীগ্রামে দল যাঁকেই প্রার্থী করুক, মুখ্যমন্ত্রীকে ‘হাফ লাখ’ ভোটে হারাতে না পারলে আমি রাজনীতিই ছেড়ে দেব”। এর পর প্রতিদিনই কোনও না কোনও সভায় এই আক্রমণ করে চলেছেন শুভেন্দু। পুরুলিয়ায় শুভেন্দু একথাও বলেছেন, ‘‘কোনও বিখ্যাত প্রার্থীর দরকার নেই, নন্দীগ্রামে মমতাকে হারাতে ধর্ষিতা রমণী রাধারানি আড়িই যথেষ্ট।’’
বৃহস্পতিবার রাজ্য সফরে এসে মমতার ওই ইচ্ছাকে কটাক্ষ করেন অমিত শাহ৷ শাহ বলেন, “লোকসভা ভোটের আগে, ২০১৮ সালে আমি বলেছিলাম পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি (BJP) ২০টি আসন পাবে। তখন মমতাদিদি বলেছিলেন আন্ডা পাবে। লোকসভা নির্বাচনে বাংলার মানুষ আমাদের ১৮টা আসন দিয়েছেন। এখন উনি আসন খুঁজছেন। একটা আসনে দাঁড়ানোর সাহস নেই ২টো আসনে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করছেন”।
রাজনৈতিক মহল এদিন মমতার এই চ্যালেঞ্জ শাহের মন্তব্যের পালটা বলেই মনে করছে৷ যদিও এদেশের নির্বাচন বিধিতে বলা আছে, কোনও রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে গেলে প্রার্থীকে সেই রাজ্যের ভোটার হওয়া বাধ্যতামূলক।

Advt

Previous articleবামেদের ধর্ঘটের খবর জানেই না ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল, শহরে যান চলাচল স্বাভাবিক
Next articleআজ রাজ্য সরকারি কর্মীদের হাজিরা বাধ্যতামূলক, খুলে গেল স্কুল