উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে অব্যাহত মৃত্যু মিছিল। টানা ৮ দিন ধরে চলছে উদ্ধারকাজ। গত ৭ ফেব্রুয়ারি উত্তরাখণ্ডের যোশীমঠে হিমবাহের একাংশ ভেঙে পড়ায় হড়পা বান নেমে আসে। ভেসে যায় ১৫ টি গ্রাম। এখন মৃতের সংখ্যা ৫৪। নিখোঁজ ১৫০ জনেরও বেশি।
রবিবার ভোরে দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তপোবন সুড়ঙ্গ থেকে। এখনও পর্যন্ত দুর্যোগ-বিধ্বস্ত স্থান থেকে মোট ৫৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তপোবনের বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিভিন্ন সুড়ঙ্গে প্রায় ২৫ থেকে ৩৫ জন শ্রমিকের আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এনডিআরএফ, এসডিআরএফের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও আইটিবিপির জওয়ানরাও উদ্ধারকাজ করছেন। প্রথম সুড়ঙ্গ থেকে ১২ জন শ্রমিককে প্রায় অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হলেও দ্বিতীয় সুড়ঙ্গের গভীরতা বেশি হওয়ায় উদ্ধারকার্যে বেগ পেতে হয়। প্রায় ১২মিটার পরিষ্কার করার পরই জমে থাকা জল বেরিয়ে আসায় কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায় উদ্ধারকার্য। পরে সুড়ঙ্গে ড্রিল করে উদ্ধারকাজ শুরু হয়।
আরও পড়ুন-ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত ১৫, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর
অন্যদিকে, যোশীমঠের ঋষিগঙ্গা নদীর গতিপথে আচমকাই একটি হ্রদ তৈরি হওয়ায় চিন্তায় প্রশাসন। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন গ্রামবাসীরা। আপাতত জঙ্গলেই রাত কাটাচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা।