ডবল ইঞ্জিন” ত্রিপুরা-অসমে বেকারত্ব বাংলার চেয়ে বহুগুণ বেশি! বলছে মোদি সরকারের রিপোর্ট

কেন্দ্র ও রাজ্যে একই দল দ্বারা পরিচালিত সরকার থাকলে উন্নয়নের জোয়ার বইবে। অর্থাৎ, “ডবল ইঞ্জিন” (Double Engine) সরকার। বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election) আগে এমনই প্রচার চালানো হচ্ছে গেরুয়া শিবিরের তরফে। তবে ভোটের প্রচারে এই “ডবল ইঞ্জিন” কনসেপ্ট বিজেপির (BJP) কাছে নতুন কিছু নয়, এর আগে পাশের রাজ্য বাঙালি অধ্যুষিত ত্রিপুরাতেও (Tripura) “ডবল ইঞ্জিন” সরকারের প্রচার চালিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। কিন্তু বাস্তবে “ডবল ইঞ্জিন” যে “ফাঁকা কলসি তা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে ত্রিপুরাবাসী। “ডবল ইঞ্জিন” সরকারের ‘’সোনার’’ ত্রিপুরা যে নেহাতই মোদি-অমিত শাহদের ভাওতা, তার প্রমাণ দিচ্ছে খোদ কেন্দ্রীয় সরকারি রিপোর্ট (Central Government Report)। যেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, বেকারত্বের (Unemployment) হারে দেশের মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে ত্রিপুরা। এই হার দেশের গড় বেকারত্বের প্রায় দ্বিগুণ। সম্প্রতি রাজ্যসভায় এই সংক্রান্ত তথ্যও পেশ করেছে শ্রমমন্ত্রক। স্ট্যাটিস্টিকস অ্যান্ড প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন মন্ত্রকের আওতায় ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিস (এনএসও) ২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে দেশ জুড়ে বার্ষিক পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভে (পিএলএফএস) করেছে।

কেন্দ্রের সেই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে বেকারত্বের জাতীয় হার ৫.৮ শতাংশ। আর ত্রিপুরায় এই পরিসংখ্যানই ১০ শতাংশ। অথচ, ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে পিএলএফএস সমীক্ষায় ত্রিপুরায় বেকারত্বের হার ছিল ৬.৮ শতাংশ। নেহাতই রাজনীতির জন্য লাগাতার বাংলাকে কর্মসংস্থান নিয়ে দুষে গেলেও এরাজ্যে কিন্তু বেকারত্বের হার ৩.৮ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে তা ছিল ৪.৬ শতাংশ। দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনঘনত্ব হওয়া সত্ত্বেও। অর্থাৎ, পশ্চিমবঙ্গে বেকারত্বের হার এক বছরে কমেছে। নজর করার মতো বিষয় হল, ওই অর্থবর্ষেও বাংলায় বেকারত্বের পরিসংখ্যান জাতীয় গড়ের (৬ শতাংশ) থেকে ভালো ছিল।

 

মোদি সরকারের রিপোর্ট আরও বলছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায় কর্মসংস্থান বহু রাজ্যের তুলনায় অনেক বেশি। শুধু তাই নয়, যে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন, সেই তালিকাতেও উপরে রয়েছে বাংলা। অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যে বেকারত্বের হার ভোট-রাজ্যগুলির মধ্যে সবচেয়ে কম। সেখানে ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরের পিএলএফএস সমীক্ষা অনুযায়ী, কেরলে বেকারত্বের হার ৯ শতাংশ। তামিলনাড়ুতে ৬.৬ শতাংশ। পুদুচেরিতে এবং ৮.৩ শতাংশ। আর একটি “ডবল ইঞ্জিন” সরকারের অসমও কিন্তু বাংলার থেকে পিছিয়েই। এই রাজ্যে বেকারত্বের হার ৬.৭ শতাংশ। ফলে “ডবল ইঞ্জিন” বলে বলে ভোটের আগে যে প্রচার করছেন বিজেপি নেতারা, তাতে সায় নেই খোদ মোদি সরকারের রিপোর্টে

Advt

 

 

Previous articleব্রেকফাস্ট নিউজ
Next articleপুলিশের হাতে রাকেশ-পামেলার WhatsApp চ্যাট, গোয়েন্দাদের নজরে আরও কিছু প্রভাবশালী