একুশের ভোটে এখনও একজন প্রার্থীর নামও ঘোষণা করেনি কংগ্রেস (Congress)৷ তার আগেই মনোনয়ন পেশ করে দিলেন বাঘমুন্ডির (Baghmundi) বিধায়ক নেপাল মাহাতো (Nepal Mehato)। তিনি পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতিও৷ নেপালবাবুর সাফাই, “দল থেকে বলা হয়েছে, যাঁরা প্রার্থী হতে পারেন, তাঁরা মনোনয়ন জমা করুন। এরপর যদি দেখি আমার নাম প্রার্থী তালিকায় নেই, তাহলে আমি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেবো।”

কংগ্রেসের জোট শরিক বামেরা শুক্রবার নিজেদের প্রার্থী তালিকার একাংশ প্রকাশ করেছে৷ পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি আসন কংগ্রেসকেই ছাড়া হয়েছে৷ কিন্তু এই আসনে কংগ্রেস এখনও ঘোষণা করেনি প্রার্থীর নাম৷ তবে সিপিএম আসনটি ছাড়লেও বামফ্রন্টের শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক এই আসনে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ ফব’র প্রয়াত সাংসদ চিত্ত মাহাতোর ছেলে দেবরঞ্জন মাহাতোর নামে দেওয়াল লেখাও শুরু হয়েছে৷ এই ঘটনায় বিপাকে পুরুলিয়া জেলা বামফ্রন্ট। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরাও। বাঘমুণ্ডি আসন নিয়ে সংযুক্ত মোর্চার জোটে ফাটল দেখা দেওয়ার আশঙ্কা করছে সব শরিকই৷

কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাতোর সমর্থনে আগেই শুরু হয়েছে দেওয়াল লেখা৷ চাপ আরও বৃদ্ধি করতে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগেই মনোনয়ন পত্রও জমা দিয়ে ফেললেন বাঘমুন্ডির কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাতো। ফলে এলাকায় বিতর্ক শুরু হয়েছে বিতর্কের আঁচ লেগেছে জেলা বামফ্রন্ট তথা আলিমুদ্দিনেও৷

নির্ঘন্ট অনুসারে প্রথম দফাতেই ভোট হবে এই আসনে৷ মনোনয়ন জমা দেওয়া শেষ তারিখ ৯ মার্চ। ভোট ২৭ মার্চ। এদিন বিধায়ক নেপাল মাহাতো তাঁর প্রয়াত মা ভবরাণী মাহাতোর ছবিতে প্রণাম করে বজরংবলীর ছবি সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন পেশ করতে যান।
প্রসঙ্গত, বাঘমুন্ডি কেন্দ্রটি ছিল ফরওয়ার্ড ব্লকের (Forward Block) দুর্গ। তাই সম্ভবত এই আসনে “বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই” চাইছে ফরওয়ার্ড ব্লক৷ ফরওয়ার্ড ব্লক বা কংগ্রেস এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ৷
সিপিএমের পুরুলিয়া জেলা সম্পাদক প্রদীপ রায় বলেছেন, “ফ্রন্টের যেভাবে প্রার্থী ঘোষণা করেছে, সেভাবেই লড়াই হবে।”
