প্রচারে গিয়ে বুধবার নন্দীগ্রামে(Nandigram) পায়ে গুরুতর চোট পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যায় যে নন্দীগ্রাম থেকে দ্রুত গ্রিন করিডোর করে কলকাতা নিয়ে আসা হয় মুখ্যমন্ত্রীকে(chief minister)। রাতে মেডিকেল বোর্ড(medical board) গঠন করে এসএসকেএম হাসপাতালে শুরু হয় চিকিৎসা। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। এহেন অবস্থায় মাঝেই এবার শুরু হয়ে গেল গোটা ঘটনার তদন্ত। কে বা কারা মুখ্যমন্ত্রীর ওপর হামলা চালাল? কীভাবে তিনি চোট পেলেন সেই মর্মে ৩২৩ ও ৩৪১ ধারায় নন্দীগ্রাম থানায় দায়ের হল এফআইআর। আর এই এফআইআর করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ইলেকশন এজেন্ট শেখ সুফিয়ান(sekh sufiyan)।

নন্দীগ্রাম থানায় এফআইআর দায়ের করার প্রেক্ষিতে শেখ সুফিয়ান বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে কারা আক্রমণ করলেন? তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বের করে পুলিশ।’ পাশাপাশি তিনি এটাও জানান ‘অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ দায়ের হয়েছে।’

উল্লেখ্য, বুধবার নন্দীগ্রামে পায়ে চোট পাওয়ার পর বিরোধীদের তরফে মমতার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাকে নাটক বলে কটাক্ষ করা হয়েছে। তবে বিরোধীদের এহেন দাবিতে রীতিমতো ক্ষুব্ধ রাজ্যবাসী। পাল্টা তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে বিজেপির কোনও কর্মী ইচ্ছাকৃতভাবে মমতাকে ধাক্কা দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজে দাবি করেছেন, ৪-৫ জন দরজার কাছে ধাক্কা দিয়েছিল। বিষয়টিতে ষড়যন্ত্রেরও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। এহেন পরিস্থিতিতে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। প্রশ্ন উঠেছে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়েও। যেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় থাকার কথা, সেখানে কোনও পুলিস ছিল না বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।
