প্রার্থী নন শোভন-বৈশাখী, বিজেপি ছাড়লেন দুজনে

বেহালা পূর্বে প্রার্থী না হতে পেরে দল ছাড়লেন শোভন চট্টোপাধ্যায় (Shobhan Chatterjee)। একইসঙ্গে দল ছেড়েছেন তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Boishakhi Benarjee)। দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বকে চিঠি লিখে ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন শোভন ও বৈশাখী। প্রার্থী তালিকা পছন্দ না হওয়ায় বিজেপির (Bjp) সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন কলকাতা জোনের পর্যবেক্ষক শোভন চট্টোপাধ্যায়, সহ-আহ্বায়ক বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ , আরবিন্দ মেনন, শিবপ্রকাশকে ইমেলে দল ছাড়ার কথা জানান তাঁরা। ফেসবুকে এই সংক্রান্ত একটি পোস্ট করে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৈশাখী।

রবিবার, বিজেপির দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষিত হয়েছে। সেখানে বেহালা পূর্বে প্রার্থী করা হয়েছে সদ্য গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়া অভিনেত্রী পায়েল সরকারকে। সূত্রের খবর, তা দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন শোভন চট্টোপাধ্যায়। দলের তরফ থেকে তাঁকে বেহালা পশ্চিমে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে দাঁড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন বেহালার পূর্বে বিধায়ক থাকা শোভন সেই প্রস্তাবে রাজি হননি।

পাশাপাশি সূত্রের খবর, কসবা কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়তে চেয়েছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই কেন্দ্র তো দূর, কোনও কেন্দ্র থেকেই তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়নি ।এর পরেই বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন দুজনে।

বিজেপি সূত্রের খবর, প্রার্থী বাছাইয়ের যে বৈঠক দিল্লিতে হয় সেখানে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বেহালা পূর্বের প্রার্থী করার প্রস্তাব উঠলে তার বিরোধিতা করেন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া আরেক নেতা। তাঁর যুক্তি ছিল, যেহেতু বেহালা পূর্বে রত্না চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছে তৃণমূল সুতরাং এক্ষেত্রে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ওই কেন্দ্রে প্রার্থী করলে সেটা পারিবারিক কোন্দলের জায়গায় পৌঁছে যেতে পারে। সে সে কারণেই বেহালা পূর্বে প্রার্থী করা হয় পায়েল সরকারকে। তবে, বেহালা পশ্চিম থেকে দাঁড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয় শোভনকে। কিন্তু তিনি বেহালা পূর্বে তাঁকে প্রার্থী না করাকে যথেষ্ট অপমানজনক বলে মনে করেন। আর বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি বলে বিজেপি সূত্রে খবর।শোভনের মতে, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত যোগ্য। তাঁকে কোথাও প্রার্থী না করায় ক্ষুব্ধ হন শোভন। তারপরেই চিঠি দিয়ে দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানান।

যদিও তাঁদের এই দলত্যাগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল (Tmc) নেতৃত্ব। তাঁদের মতে, এর আগেও বিজেপি ছড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন শোভন-বৈশাখী। দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে ফের দলে ফিরিয়ে নেন। এক্ষেত্রে সেরকম কোনো ঘটনা ঘটতেই পারে বলে কটাক্ষ বিরোধী শিবিরের। শুধু তাই নয়, শোভন জননেতা হলে নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়ে দেখাক- চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের।

 

 

Advt

Previous articleচার্চিলের বিরুদ্ধে জয় চাইছেন শঙ্করলাল
Next articleভোল বদল রন্তিদেবের, ইচ্ছার বিরুদ্ধেই নাকি ভোটে লড়বেন!