কপ্টার বিভ্রাট নাকি ‘ফাঁকা মাঠ’ দেখেই ঝাড়গ্রাম এলেন না শাহ! বাড়ছে জল্পনা

কথা ছিল তিনি আসবেন। তবে একেবারে শেষ মুহূর্তে ভন্ডুল হয়ে গেল সবকিছু। অবশ্য ভাঙা আসরে ভার্চুয়ালি মিনিট সাতেকের ম্যাড়মেড়ে বক্তৃতা দিয়ে গেরুয়া শিবিরের মান রাখলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah)। স্বশরীরে ঝাড়গ্রামের সার্কাস ময়দানে আর হাজিরা দিলেন না তিনি। কারণ, কপ্টার বিভ্রাট। বিজেপির তরফ থেকে তো বটেই ভার্চুয়াল সভায় অমিত শাহ নিজে দাবি করেছেন, হেলিকপ্টার(helicopter) বিভ্রাটের জন্য ঝাড়গ্রাম(Jhargram) উপস্থিত হতে পারেননি তিনি। তবে বিজেপির অন্দরমহল থেকে জানা যাচ্ছে, ঝাড়গ্রামের সার্কাস ময়দানের একেবারে ফাঁকা মাঠ অমিত শাহের না আসার মূল কারণ।

অমিত শাহ আসবেন। ভিভিআইপি আগমন উদ্দেশ্যে সোমবার ঢেলে সাজানো হয়েছিল ঝাড়গ্রামের সার্কাস ময়দান। সভা হওয়ার কথা ছিল ১১ টায়। তবে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও দেখা যায় হাতেগোনা বিজেপির কয়েকজন নেতা ঘোরাঘুরি করছেন সার্কাস ময়দানের সভামঞ্চে। মুষ্টিমেয় কয়েকজন শ্রোতা গেরুয়া পতাকা হাতে নিয়ে বসে রয়েছেন মাঠে। সংবাদমাধ্যমে এই ছবি প্রকাশ্যে আসার পর অদ্ভুতভাবে বিজেপির তরফে জানানো হয় হেলিকপ্টার খারাপ হয়ে গিয়েছে অমিত শাহের। তবে সড়ক পথে আসার চেষ্টা করছেন তিনি। আরও খানিকটা সময় পার হওয়ার পার জানা যায় ঝাড়গ্রামে আসতে পারবেন না শাহ। তার জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন, তবে ভার্চুয়ালি সভা করবেন। অমিত শাহের এহেন মত পরিবর্তন মোটেই ভালোভাবে নেয়নি ঝাড়গ্রামের স্থানীয় নেতৃত্ব। প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও বিজেপি কর্মীসমর্থকরা জানান, ‘যদি নাই আসবেন তবে এত নাটক করার দরকার কী? ঠা ঠা রোদ্দুরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রেখে অবশেষে সভা বাতিল!’ যদিও বিজেপি নেতৃত্বের তরফে অবশ্য সাফাই দেওয়া হয়েছে, ‘এবার কপ্টার বিভ্রাটের জন্য না হলেও পরেরবার নিশ্চয়ই আসবেন অমিতজি।’

আরও পড়ুন:নন্দীগ্রামে আমার গাড়ির দরজা ইচ্ছাকৃতভাবে চেপে দেওয়া হয়েছিল, বলরামপুরের সভায় ফের দাবি মমতার

তবে বিজেপির অন্দরমহল থেকে জানা যাচ্ছে, ‘ঝাড়গ্রামের সার্কাস ময়দানে যে পরিমাণ জনসমাগম বিজেপি নেতৃত্ব আশা করেছিলেন তার সিকিভাগও হয়নি। বহু চেষ্টা সত্ত্বেও এই জেলার ৪ বিধানসভার সাধারণ মানুষকে সভামুখী করা যায়নি। এমন অবস্থায় কিছুটা নাটকেরও আশ্রয় নিতে হয় বিজেপিকে। গেরুয়া শিবিরের তরফে দাবি করা হয়, তৃণমূল সভায় ঢুকতে দিচ্ছে না মানুষকে। পরে দাবি করা হয়, পুলিশ মাঠে ঢুকতে দিচ্ছে না সাধারণ মানুষকে। তবে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে থাকা রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ধোপে টেকেনি। লোক না হওয়ায় অমিত শাহ ঝাড়গ্রামের সভা করুক সেটাও চাইছিলেন না রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতারা। যার জেরেই শেষ পর্যন্ত ভার্চুয়ালের আশ্রয় নিতে হয় শাহকে। তবে সেই সভাতেও হতাশ অমিত শাহের ছবি স্পষ্ট ধরা পড়েছে সংবাদমাধ্যমে। শুধুমাত্র নিয়ম রক্ষার খাতিরে মাত্র ৭ মিনিটে বক্তব্য শেষ করে ঝাড়গ্রামের পাট চোকান বিজেপির সেকেন্ড-ইন-কমান্ড।

Advt

Previous articleসঞ্জনার সঙ্গেই গাঁটছড়া বাঁধলেন ক্রিকেটর যশপ্রীত বুমরাহ
Next articleপ্রার্থী অপছন্দ, রেললাইনে আত্মহত্যার চেষ্টা বিজেপি নেতার