করোনার দাপটে ফের স্তব্ধ একাধিক রাজ্যের একাধিক শহর

ফিরল ২০২০ লকডাউনের (Lockdown) স্মৃতি। মহারাষ্ট্রে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। করোনার প্রকোপে ফের একবার লকডাউন শুরু হল মহারাষ্টের নাগপুর সহ বেশ কিছু অংশে। খা খা করছে রাস্তা, বন্ধ দোকানপাট। বিশেষজ্ঞরা আগেই জানিয়েছিলেন, ভ্যাকসিন আসা মানে যে করোনা একেবারে চলে গিয়েছে এমনটা ভাবলে ভুল। কোভিড বিধি না মানলেই বড় বিপদ। আর ঠিক তাই ঘটল। এবার লকডাউনের পথে হাঁটল দেরাদুন প্রশাসন।

করোনাভাইরাসের নয়া স্ট্রেন এখন অনেক বেশি ভয়াবহ। যার সংক্রমণ ক্ষমতা অনেকটাই বেশি বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আর তার জেরেই ফের লকডাউনের ভাবনা উদ্ধব ঠাকরের প্রশাসনের। ১৫ থেকে ২১ মার্চ মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকায় চলবে লকডাউন। ইতিমধ্যেই নাগপুর ও প্রভানি শহরে শুরু হয়ে গিয়েছে লকডাউন। অন্যদিকে ঔরঙ্গবাদে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার।

আরও পড়ুন-রাজ্যে বাড়ছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ, সঙ্গে মৃত্যুও

অবশ্য খোলা রয়েছে অত্যাবশকীয় পণ্যের সরবরাহ। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে কিছুদিন আগেই কড়া ভাবে কোভিড বিধি মেনে চলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। জানিয়ে দিয়েছিলেন, শুধরে যান, মেনে চলুন স্বাস্থ্য বিধি। নইলে লকডাউনের সিদ্ধান্তে অনড় থাকতে হবে। আর দিন গড়াতে ঠিক তাই হল। ১৫ মার্চ থেকে শুরু হল লকডাউন। ২০২০-র মতো করোনার চেন ভাঙার জন্যই এই লকডাউন। আর করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

লকডাউনের পথে হাঁটল দেরাদুন প্রশাসনও। মুসৌরি শহরের একাধিক অংশে নতুন করে সম্পূর্ণ লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের গালওয়ে কটেজ, সেন্ট জর্জ স্কুল, বার্লো গঞ্জ এলাকায় পুরোপুরি শাটডাউনের অর্ডার দিয়েছে সেখানকার প্রশাসন। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ছাড়া কোনও দোকান খোলা রাখা যাবে না মুসৌরির এই অংশে। প্রতিটি বাড়ির একজন করে সদস্যকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করতে বেরনোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, সদ্য দায়িত্ব নেওয়ার পর উত্তরাখণ্ডের নয়া মুখ্যমন্ত্রী তীর্থ সিং রাওয়াত লকডাউন সংক্রান্ত বিধিভঙ্গের সমস্ত মামলা তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। রাজ্যের মুখ্যসচিব ওমপ্রকাশ জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সমস্ত বিধিভঙ্গের মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এদিকে, সে রাজ্যে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৯৮ হাজারের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। নতুন করে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা।

আরও পড়ুন-CAA বাতিলের দাবি, পদ্ম শিবিরকে চাপে ফেলল এআইএডিএমকে

স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত ৩ মাসে এই আক্রান্তের সংখ্যাটাই সবচেয়ে বেশি। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৬,২৯১। এর মধ্যে করোনাজয়ী ১৭,৪৫৫। মৃত্যু ১১৮ জনের। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১,১৩,৮৫,৩৩৯। এখনও মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১,১০,০৭,৩৫২ জন। এখন সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ২,১৯,২৬২। মৃত্যু হয়েছে ১,৫৮,৭২৫ জনের। মোট টিকাকরণ হয়েছে ২,৯৯,০৮,০৩৮ জনের।

Advt

Previous articleCAA বাতিলের দাবি, পদ্ম শিবিরকে চাপে ফেলল এআইএডিএমকে
Next articleউপত্যকায় বড় সাফল্য, সেনার গুলিতে খতম জইশ কমান্ডার সাজ্জাদ আফগানি