Monday, May 5, 2025

ভোটের বাংলায় করোনা-আতঙ্ক বাড়ছে, সতর্কতামূলক নির্দেশিকা নবান্নের

Date:

Share post:

অবশেষে নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য প্রশাসন৷

দেশজুড়ে ফের করোনা-আতঙ্ক মাথাচাড়া দিয়েছে৷ বাদ নেই বাংলাও
ক্রমশই ভয়াল হয়ে উঠছে
করোনাভাইরাস৷ দেশের একাধিক রাজ্য ফের বিধ্বস্ত হতে চলেছে৷
উদ্বেগ বাড়ছে বাংলাতেও৷ ভোটের রাজ্যে তোয়াক্কাও করা হচ্ছেনা করোনা- প্রোটোকলকে৷ ওদিকে নীরবে থাবা বসাচ্ছে করোনা এবং নতুন স্ট্রেন৷ রাজ্যে যে হারে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে এখনই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা কার্যকর করা না গেলে শেষের দিকের কয়েক দফার নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে বলেই চিকিৎসক মহলের আশঙ্কা৷ একাধিক রাজ্যের বেশ কিছু শহরে চলছে নাইট কার্ফু। সংক্ষিপ্ত লকডাউনও চলছে বেশ কয়েকটি শহরে৷ বাংলা তথা কলকাতায় সংক্রমণের হার ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার নড়েচড়ে বসেছে নবান্ন৷ করোনা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নতুন করে বেশ কয়েক দফা নির্দেশিকা জারি করলো পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (assembly election) দু’দিন বাদেই। সব ক’টি দলের ভোটপ্রচারে বুড়ো আঙুল দেখানো হচ্ছে করোনা-বিধিকে৷ বড় বড় সমাবেশে তোয়াক্কা করা হচ্ছে না সতর্কতা-বিধি৷
এই পরিস্থিতিতে সোমবার রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সব জেলার জেলাশাসক, এসপি এবং জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে একটি ভিডিও কনফারেন্স করেন। এই বৈঠকেই করোনা-পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নির্দেশে বলা হয়েছে,

◾নির্বাচন-প্রক্রিয়া কোভিড-প্রোটোকল মেনেই করতে হবে৷

◾রাজ্যজুড়ে প্রকাশ্যস্থানে শারীরিক দূরত্ব (physical distance) এবং মাস্ক (mask) বাধ্যতামূলক করতে হবে।

◾বিবাহ-সহ সব ধরনের সামাজিক উৎসবে করোনা-বিধি মানা হচ্ছে কিনা, নজর রাখতে হবে।

◾গণ-পরিবহণে কোভিড প্রোটোকল (covid protocol) মানতে হবে৷

◾রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন এবং মিছিল, জনসভায় জরুরি স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য সব রাজনৈতিক দলের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।

◾টিকাকরণের কাজ দ্রুত করতে হবে।

◾৬০ ও ৪৫ বছর (কো-মরবিডিটি) বয়সীদের শারীরিক দিকে
নজর রাখতে হবে।

◾করোনা টেস্টের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে।

◾যে সমস্ত এলাকায় সংক্রমণ ধরা পড়ছে সেখানে প্রতিনিয়ত ‘নজরদারি চালাতে হবে৷

◾হাসপাতালগুলিতে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা পরিকাঠামো ঠিক আছে কি’না, তা ‘রিভিউ’ করতে হবে।

◾হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেনের উপযুক্ত ব্যবস্থা রাখতে হবে।

◾প্রতিটি জেলায় অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সচল রাখতে হবে।

◾চালু রাখতে হবে ২৪ ঘণ্টার হেল্পলাইন।

◾প্রয়োজনে যেন ডাক্তার, নার্স, সিসিইউ স্টাফ পাওয়া যায়, এমন ব্যবস্থা তৈরি রাখতে হবে।

spot_img
spot_img

Related articles

রিষড়ার সাউভাই দ্রুত ফিরে আসুন: বিএসএফ জওয়ানের জন্য অপেক্ষা মুখ্যমন্ত্রীর

১২ দিন অতিক্রান্ত হলেও বাংলার বিএসএফ জওয়ান পূর্ণমকুমার সাউকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ নরেন্দ্র মোদি সরকার। এমনকি রবিবার...

মোহনবাগানের পথে রবসন রবিনহো!

ইস্টবেঙ্গলে(Eastbengal) যাওয়ার কথা শোনা গেলেও দল বদলের বাজেরা হঠাত্ই যেন পট পরিবর্তন। রবসন রবিনহো(Robson Robinho) ইস্টবেঙ্গলে নয়, যেতে...

আমি লালকেল্লার উত্তরাধিকারী! বেগমের আবেদন নাকচ সুপ্রিম কোর্টের

লালকেল্লার মাথায় ত্রিবর্ণ পতাকা। এটাই স্বাধীন ভারতের প্রতীক গোটা বিশ্বের কাছে। এবার সেই লালকেল্লার অধিকার দাবি করেই সুপ্রিম...

ধূলিয়ান থেকে দুই পরিবারকে তুলে এনেছে! মুর্শিদাবাদ রওনার আগে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী

মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে অশান্তির আবহে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সেখানে গিয়ে প্রভাবিত করা ঠিক নয়, এমনটাই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী...