বুধবার সকালে দিনহাটা পশু হাসপাতালের বারান্দায় বছর বাহান্নর অমিত সরকারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ভোটের মুখে বিজেপি নেতার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ধুন্ধুমার বেধে যায় দিনহাটায়। বোমাবাজি, আগুন, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট। বিজেপির বিক্ষোভে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। তৃণমূলের মদতে খুন করা হয়েছে এই অভিযোগে দিনহাটার তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহর অফিসও ভাঙচুর করা হয়। সেই অভিযোগ নস্যাৎ করে ঘাসফুল শিবির দাবি করেছিল,আত্মহত্যার ঘটনায় রাজনীতি হচ্ছে। পুলিশ সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে আত্মহত্যার বলেই বলে মনে হচ্ছে। তা আরও জোরালো করেছে মৃতের সুইসাইড নোট।

বিজেপি নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর বিজেপি অভিযোগ করে, তৃণমূলই এই কাজ করেছে। যদিও সেই অভিযোগ একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছেন কোচবিহারের তৃণমূল জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রির্পোর্ট বলছে, মৃত্যুর পর ঝোলানো হয়নি। গলায় ফাঁস লেগে মৃত্যু হয়েছে অমিতের। আত্মহত্যার সম্ভাবনাই জোরালো। উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট। হাতের লেখা মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।
