রঙের উৎসবে মাতল রাজ্যবাসী

আজ দোলপূর্ণিমা। লাল-হলুদ-সবুজ আবীরে মেখে বসন্তকে আহ্বান জানাবে বঙ্গবাসী। বাঙালীর কাছে দোল পূর্ণিমা মানে রঙের উৎসব। বসন্তের এই উৎসবের মধ্যে কোনও রাজনীতির কোনও ভেদাভেদ নেই। তবে করোনার জন্য এবছর রঙের উৎসবে খানিকটা হলেও ভাটা পড়েছে। কারণ ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা।


ওঁকে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল , লাগল যে দোল….। রবীন্দ্রনাথের এই গানটি শুনলেই বসন্তের এই দিনটি উৎসবের মতো মনে হয়। কবিগুরুর কাছেও দোল বসন্ত উৎসবের মতোই পালিত হত। দোলপূর্ণিমার দিন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিকদের নিয়ে রঙের ডালা সাজিয়ে অত্যন্ত ধুমধামের সঙ্গে দিনটি পালিত হত। উৎসবে জনসমাগমও হত। কবিগুরুর অবর্তমানেও বসন্ত উৎসব ঠিক একইভাবে পালিত হত। কিন্তু এবছর আশ্রমের আবাসিকদের নিয়ে দোলপূর্ণিমার আগেই দিনটি পালিত হয়েছে। বর্তমান উপাচার্যের কথায় করোনার মত অতিমারির সংক্রমণ রুখতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে রবীন্দ্রভারতীতেও বসন্ত উৎসব বেশ ধুমধামের সঙ্গেই পালিত হয়।


ফাগুনের শেষবেলাতে ‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও যাও, যাও গো এবার যাওয়ার আগে’… এই রঙ ভালোবাসার মানুষের গালে লাল আবীর মাখিয়ে তাঁর হাতকে আরও শক্ত করে ধরার আর্জি। এই রঙ কচিকাঁচাদের আনন্দের অঙ্গ। এই রঙ বড়দের পায়ে প্রণাম করে আশীর্বাদ চাওয়ার প্রতীক। বন্ধুদের কাছে এই রঙ বন্ধুত্বের অঙ্গ। বসন্ত মানেই সৌহার্দ্য, বসন্ত মানেই প্রেম, বসন্ত মানেই ভালোবাসা, বসন্ত মানেই পলাশ রাঙা দিনে, তোমার কাছে ঋণী।

Advt

 

Previous articleভারতীয়রা বিশ্বের চোখে আলাদা সম্মান পান: মন কি বাত-এ মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর
Next articleফের লাগামছাড়া হচ্ছে করোনা সংক্রমণ