ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের গুলির লড়াইয়ে শহিদ ২২ জওয়ান, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতির

ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের গুলির লড়াইয়ে শহিদ হলেন ২২ জওয়ান। শনিবার দুপুর থেকে নিরাপত্তা বাহিনী ও মাওবাদীদের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়। মাওবাদীদের খোঁজে যৌথ অভিযান চালায় সিআরপিএফের কোবরা বাহিনী, ডিআরজি এবং এসটিএফ৷ তখনই তাঁদের ওপর হামলা চালায় মাওবাদীরা৷ পাল্টা গুলি চালায় সেনা জওয়ানরাও৷ গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারান ২২ জন সেনা৷

বিজাপুরের এসপি কমলাচোন কাশ্যপ বলেন, “সুকমা-বিজাপুরে সীমানায় মাওবাদীদের হামলায় ২২ জন জওয়ান প্রাণ হারিয়েছেন।” এই ঘটনায় শহিদদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তিনি বলেন, ছত্তিশগড়ের মাওবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর হত্যা গভীর উদ্বেগের বিষয়। শোকাহত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। দেশ তাঁদের ত্যাগ কখনই ভুলবে না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অসমে নির্বাচনী প্রচারে যাওয়ার কথা। কিন্তু শাহ ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছত্তিশগড়ের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে রবিবার বিকেলে দিল্লি পৌঁছচ্ছেন।

আরও পড়ুন-আচমকাই ঘটল বিপদ! বিদ্যুৎ প্রকল্পের ছাদ ভেঙে পড়ায় আহত ১৩ শ্রমিক

শনিবার বীজাপুরের জঙ্গলে মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শহিদ হয়েছেন ৫ জন জওয়ান, ৩ জন সিআরপিএফ, ২ জন ছত্তিশগড়ের বিশেষ বাহিনীর সদস্য। উদ্ধার করা হয়েছিল ২ মাওবাদীর মৃতদেহও। জানা গিয়েছে,ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে মাও হানায় আহত হন আরও ১২। সূত্রের খবর, বিজাপুরের তারেম এলাকার সিলগার জঙ্গলে অভিযান চালাচ্ছিল সিআরপি এবং রাজ্য পুলিশের এসটিএফ ও ডিআরজি-র যৌথ বাহিনী। তখনই জঙ্গলের মধ্যে থেকে সেনাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু করে মাওবাদীরা। রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত জওয়ানদের মধ্যে অনেকেই কমান্ডো ব্যাটালিয়ন ফর রেসোলিউট অ্যাকশন-ইউনিটের সদস্য।

Advt

Previous article‘আগে দিল্লি সামলান, আমার রাজ্য সরকারকে নির্দেশিকা দেওয়ার অধিকার আপনার নেই’: মমতা
Next articleজয়নগরে বিজেপিকে তুলোধোনা অভিষেকের