তিন দিক ঘিরে জওয়ানদের ওপর চলে গুলিবর্ষণ, উঠে আসছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য

রবিবার ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের গুলিতে ২২ জন জওয়ান প্রাণ হারিয়েছেন। এবং ৩১ জন জওয়ান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানে ১০-১২ জন মাওবাদী জওয়ানদের গুলিতে নিকেশ হয়েছে। সেই গুলির লড়াইয়ের সময় মাওবাদীদের এক বিশাল ফাঁদে পা দিয়েছিলেন সেনা জওয়ানরা। উঠে আসছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য।

সিআরপিএফ কর্তা কুলদীপ সিং জানিয়েছেন, ছত্তিশগড়ে আধাসেনার অভিযানে কোনও কৌশলগত ত্রুটি ছিল না। ভুল ছিল না গোয়েন্দা তথ্যেও। সূত্রের খবর, ৪০০ মাওবাদী তিন দিক থেকে ঘিরে ধরেছিল সিআরপিএফ জওয়ানদের বিশাল বাহিনীকে। গাছপালা কম থাকায় ওই রকম এলাকায় এমনভাবে কোনঠাসা করেই জওয়ানদের ওপর গুলিবর্ষণ করেছিল মাওবাদীরা। শক্তিশালী আইইডি বিস্ফোরণও ঘটানো হয়।

আরও পড়ুন-মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অনিল দেশমুখ

জানা গিয়েছে, সিআরপিএফের কাছে খবর ছিল মাওবাদীদের দুই শীর্ষ নেতা মাডভি হিডমা এবং তার সঙ্গী সুজাতা বিজাপুরের কাছে লুকিয়ে আছে। যা আসলে ছিল মাওবাদীদের পাতা ফাঁদ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই ভুল তথ্যের ভিত্তিতেই মাওবাদী দমন অভিযান চালায় সিআরপিএফ। কিন্তু সিআরপিএফের ডিরেক্টর জেনারেল কুলদীপ গতকালের ঘটনাকে জওয়ানদের ব্যর্থতা বলতে রাজি নন। তিনি বলেছেন, “যদি গোয়েন্দা তথ্য ভুল হত, তবে বাহিনী অভিযানেই যেত না। কৌশল ব্যর্থ হলে তিনটি ট্র্যাক্টরে নিহত মাওবাদীদের দেহ সরাতে হত না।”

গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, মাওবাদী দমন অভিযানে নেমেছিলেন সেনা জওয়ানরা। মাওবাদী নেতা হিডমা, যাকে ধরার চেষ্টা চলছে দীর্ঘ দিন ধরে। ওইদিন গোয়েন্দাদের কাছে খবর ছিল, সে ওই এলাকাতেই রয়েছে। হিডমার উপস্থিতি ও মাওবাদীদের গতিবিধির খবর পেয়ে রবিবার ভোরে অভিযানে নামে সিআরপিএফ, কোবরা, ছত্তিশগড় পুলিশের ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড ও অন্য বাহিনীর ১৫০০ জওয়ান। কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর হামলা চালাতে ওত পেতে বসেছিল হিডমার নেতৃত্বধীন মাওবাদীদের একটি দল। জাগারগুন্ডা-জোঙ্গাগুড়া-তারেমের একটি এলাকায় ৭৯০ জন জওয়ানের একটি দলকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় মাওবাদীরা। প্রায় ৩ ঘণ্টা দু’পক্ষের মধ্যে চলে গুলির লড়াই। এতেই মৃত্যু হয়েছে জওয়ানদের। সেই লড়়াইয়ে ২৫-৩০ জন মাওবাদীও নিহত হয়েছে বলে দাবি জওয়ানদের।

Advt

Previous article‘দিল্লিতে বিজেপিকে ঠেকাতে তৃণমূল কংগ্রেসই ভরসা’, বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা
Next articleISF প্রার্থীকে জুতো-ঝাঁটা দেখিয়ে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের, গো-ব্যাক স্লোগান