গণতন্ত্রের উৎসবে অংশ নিতে গিয়ে গণহত্যার বলি! বিচার চাইছে কোচবিহার

রক্তাক্ত চতুর্থ দফার ভোট। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে শীতলকুচিতে লাইনে দাঁড়ানো ৪ ভোটারের প্রাণ গিয়েছে। স্তব্ধ কোচবিহার। উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি।

ঘটনায় সরব, ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচার চেয়ে ঘটনাকে গণহত্যা বলেছে। ভিডিও কলে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এককালীন সাহায্যের কথাও জানিয়েছেন। কোচবিহারে রাজনৈতিক নেতাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি বিজেপিকে অক্সিজেন দিয়েছিল। কিন্তু রবিবার সকালে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলে, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে তিনি প্রকৃত মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা পালন করেছেন।

রাজনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়ে মরিয়া বিজেপি দিল্লিতে কমিশনের কাছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নালিশ জানাল। অভিযোগ দেওয়ার পর বিজেপির কেন্দ্রীয়মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নকভি জানান, ‘হিংসার রাজনীতি’ ছড়াচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাওয়ের ডাক দেওয়াতেই মানুষ প্ররোচিত হয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী আক্রান্ত হয়েছে। আত্মরক্ষায় গুলি চালাতে হয়েছে। পালটা তৃণমূল কংগ্রেস বলেছে, গণহত্যার জবাব মানুষ ব্যালটেই দেবে।

কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই হত্যালীলার বিচার চাইছে কোচবিহারের মানুষ। রবিবার মৃতদেহ নিয়ে মিছিলে থেকেও সেই আওয়াজ। শক্ত চোয়াল। থমথমে পরিবেশ। তারমধ্যেও অন্য লড়াইয়ের প্রস্তুতি। কেরল থেকে দৌড়ে এসে গণতন্ত্রের উৎসবে অংশ নিতে গিয়ে শেষে ‘গণহত্যা’র বলি!

Advt

 

Previous articleমডেল কোড অফ কন্ডাক্ট হয়ে গেছে ‘মোদি কোড অফ কন্ডাক্ট’: মমতা
Next articleভয়াবহ আগুনে মৃত্যু ২ শিশুর, পুড়ে ছাই ১৫০ টি ঝুপড়ি